Anda sedang membaca tafsir untuk kelompok ayat dari 48:4 hingga 48:7
هو الذي انزل السكينة في قلوب المومنين ليزدادوا ايمانا مع ايمانهم ولله جنود السماوات والارض وكان الله عليما حكيما ٤ ليدخل المومنين والمومنات جنات تجري من تحتها الانهار خالدين فيها ويكفر عنهم سيياتهم وكان ذالك عند الله فوزا عظيما ٥ ويعذب المنافقين والمنافقات والمشركين والمشركات الظانين بالله ظن السوء عليهم دايرة السوء وغضب الله عليهم ولعنهم واعد لهم جهنم وساءت مصيرا ٦ ولله جنود السماوات والارض وكان الله عزيزا حكيما ٧
هُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ فِى قُلُوبِ ٱلْمُؤْمِنِينَ لِيَزْدَادُوٓا۟ إِيمَـٰنًۭا مَّعَ إِيمَـٰنِهِمْ ۗ وَلِلَّهِ جُنُودُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًۭا ٤ لِّيُدْخِلَ ٱلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَـٰتِ جَنَّـٰتٍۢ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ خَـٰلِدِينَ فِيهَا وَيُكَفِّرَ عَنْهُمْ سَيِّـَٔاتِهِمْ ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عِندَ ٱللَّهِ فَوْزًا عَظِيمًۭا ٥ وَيُعَذِّبَ ٱلْمُنَـٰفِقِينَ وَٱلْمُنَـٰفِقَـٰتِ وَٱلْمُشْرِكِينَ وَٱلْمُشْرِكَـٰتِ ٱلظَّآنِّينَ بِٱللَّهِ ظَنَّ ٱلسَّوْءِ ۚ عَلَيْهِمْ دَآئِرَةُ ٱلسَّوْءِ ۖ وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيْهِمْ وَلَعَنَهُمْ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَهَنَّمَ ۖ وَسَآءَتْ مَصِيرًۭا ٦ وَلِلَّهِ جُنُودُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا ٧
هُوَ
الَّذِیْۤ
اَنْزَلَ
السَّكِیْنَةَ
فِیْ
قُلُوْبِ
الْمُؤْمِنِیْنَ
لِیَزْدَادُوْۤا
اِیْمَانًا
مَّعَ
اِیْمَانِهِمْ ؕ
وَلِلّٰهِ
جُنُوْدُ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ ؕ
وَكَانَ
اللّٰهُ
عَلِیْمًا
حَكِیْمًا
۟ۙ
لِّیُدْخِلَ
الْمُؤْمِنِیْنَ
وَالْمُؤْمِنٰتِ
جَنّٰتٍ
تَجْرِیْ
مِنْ
تَحْتِهَا
الْاَنْهٰرُ
خٰلِدِیْنَ
فِیْهَا
وَیُكَفِّرَ
عَنْهُمْ
سَیِّاٰتِهِمْ ؕ
وَكَانَ
ذٰلِكَ
عِنْدَ
اللّٰهِ
فَوْزًا
عَظِیْمًا
۟ۙ
وَّیُعَذِّبَ
الْمُنٰفِقِیْنَ
وَالْمُنٰفِقٰتِ
وَالْمُشْرِكِیْنَ
وَالْمُشْرِكٰتِ
الظَّآنِّیْنَ
بِاللّٰهِ
ظَنَّ
السَّوْءِ ؕ
عَلَیْهِمْ
دَآىِٕرَةُ
السَّوْءِ ۚ
وَغَضِبَ
اللّٰهُ
عَلَیْهِمْ
وَلَعَنَهُمْ
وَاَعَدَّ
لَهُمْ
جَهَنَّمَ ؕ
وَسَآءَتْ
مَصِیْرًا
۟
وَلِلّٰهِ
جُنُوْدُ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ ؕ
وَكَانَ
اللّٰهُ
عَزِیْزًا
حَكِیْمًا
۟
3

৪-৭ নং আয়াতের তাফসীর: মহান আল্লাহ্ বলেন যে, তিনি মুমিনদের অন্তরে সাকীনা অর্থাৎ প্রশান্তি, করুণা ও মর্যাদা দান করেন। ইরশাদ হচ্ছে যে, হুদায়বিয়ার সন্ধির দিনে যেসব ঈমানদার সাহাবী (রাঃ) আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সঃ)-এর কথা মেনে নেন, আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তাদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন। এর ফলে তাঁদের ঈমান আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এর দ্বারা ইমাম বুখারী (রঃ) প্রমুখ গুরুজন দলীল গ্রহণ করেছেন যে, অন্তরে ঈমান বাড়ে ও কমে। ঘোষিত হচ্ছেঃ আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই। তাঁর সেনাবাহিনীর কোন অভাব নেই। ইচ্ছা করলে তিনি নিজেই কাফিরদেরকে ধ্বংস করে দিতেন। একজন ফেরেশতা প্রেরণ করলে তিনি সবকেই নিশ্চিহ্ন করে ফেলতেন। কিন্তু তা না করে তিনি মুমিনদেরকে জিহাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে তাঁর পূর্ণ নিপুণতা রয়েছে। তা এই যে, এর মাধ্যমে তার হুজ্জতও পূর্ণ হয়ে যাবে এবং দলীল-প্রমাণও সামনে এসে যাবে। এ জন্যেই তিনি বলেনঃ ‘আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। তাঁর কোন কাজই জ্ঞান ও নিপুণতা শূন্য নয়। এতে এক যৌক্তিকতা এও আছে যে, ঈমানদারদেরকে তিনি স্বীয় উত্তম নিয়ামত দান করবেন। পূর্বে এ রিওয়াইয়াতটি গত হয়েছে যে, সাহাবীগণ (রাঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে মুবারকবাদ দিলেন এবং তাদের জন্যে কি রয়েছে তা জিজ্ঞেস করলেন তখন মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ ... (আরবী) এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। অর্থাৎ “এটা এ জন্যে যে, তিনি মুমিন পুরুষ ও মুমিনা নারীদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেথায় তারা স্থায়ী হবে এবং তিনি তাদের পাপ মোচন করবেন, এটাই আল্লাহর দৃষ্টিতে মহা সাফল্য।” যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যাকে জাহান্নাম হতে দূর করা হয়েছে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে সে সফলকাম হয়েছে।” (৩:১৮৫)এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আর একটি কারণ বর্ণনা করছেন যে, তিনি মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিকা নারী, মুশরিক পুরুষ ও মুশরিকা নারী, যারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মন্দ ধারণা পোষণ করে তাদেরকে শাস্তি দিবেন। অর্থাৎ শির্ক ও নিফাকে জড়িত যেসব নরনারী আল্লাহ তাআলার আহকাম সম্বন্ধে মন্দ ধারণা পোষণ করে এবং রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) ও তাঁর সাহাবীদের সম্পর্কে কু-ধারণা রাখে, তাদের নাম ও নিশানা মিটিয়ে দেয়া হবে, আজ হোক বা কাল হোক। এই যুদ্ধে যদি তারা রক্ষা পেয়ে যায় তবে অন্য যুদ্ধে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেন যে, অমঙ্গল চক্র তাদের জন্যে, আল্লাহ তাদের প্রতি রুষ্ট হয়েছেন এবং তাদেরকে অভিশপ্ত করেছেন, আর তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন জাহান্নাম এবং এ জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট আবাস!পুনরায় মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ্ স্বীয় ব্যাপক ক্ষমতা এবং শত্রুদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণের শক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন যে, আকাশ-মণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহ্ই এবং তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।