فَلَمَّا
جَآءَهُمْ
بِالْحَقِّ
مِنْ
عِنْدِنَا
قَالُوا
اقْتُلُوْۤا
اَبْنَآءَ
الَّذِیْنَ
اٰمَنُوْا
مَعَهٗ
وَاسْتَحْیُوْا
نِسَآءَهُمْ ؕ
وَمَا
كَیْدُ
الْكٰفِرِیْنَ
اِلَّا
فِیْ
ضَلٰلٍ
۟
3

অতঃপর মূসা আমার নিকট হতে সত্য নিয়ে ওদের নিকট উপস্থিত হলে ওরা বলল, ‘মূসার সাথে যারা বিশ্বাস করেছে, তাদের পুত্র-সন্তানদেরকে হত্যা কর এবং তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ।’[১] কিন্তু অবিশ্বাসীদের ষড়যন্ত্র তো ভ্রষ্টতাপূর্ণই। [২]

[১] ফিরআউন এ কাজ পূর্বেও করেছে, যাতে সেই শিশুর যেন জন্ম না হয়, যে শিশু ছিল জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তার রাজত্বের জন্য আশঙ্কাজনক। এখানে মূসা (আঃ)-এর অবমাননা ও তাঁর লাঞ্ছনার জন্য পুনরায় একই নির্দেশ দিল। অনুরূপ এ জন্যও (এ নির্দেশ দিল) যে, যাতে বানী-ইস্রাঈল মূসা (আঃ)-এর অস্তিত্বকে নিজেদের জন্য মসীবত ও অমঙ্গলের (অশুভ) কারণ মনে করে। যেমন, সত্যিকারেই তারা বলল যে, ﴿قَالُوا أُوذِينَا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَأْتِيَنَا وَمِنْ بَعْدِ مَا جِئْتَنَا﴾ "হে মূসা! তোমার আগমনের পূর্বেও আমরা কষ্টে জর্জরিত ছিলাম এবং তোমার আগমনের পরও আমাদের সেই একই অবস্থা।" (সূরা আরাফ ৭:১২৯)[২] অর্থাৎ, এ থেকে তার যে উদ্দেশ্য ছিল যে, বনী-ইস্রাঈলের শক্তি যেন বৃদ্ধি না পায় এবং তার সম্মানে যেন ঘাটতি না আসে, তা কিন্তু সে অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। বরং আল্লাহ ফিরআউন ও তার দলবলকে ডুবিয়ে (ধ্বংস করে) দিলেন এবং বানী-ইস্রাঈলকে বরকতময় ভূমির উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিলেন।

Maksimalkan pengalaman Quran.com Anda!
Mulai tur Anda sekarang:

0%