وَتَرَی
الْمَلٰٓىِٕكَةَ
حَآفِّیْنَ
مِنْ
حَوْلِ
الْعَرْشِ
یُسَبِّحُوْنَ
بِحَمْدِ
رَبِّهِمْ ۚ
وَقُضِیَ
بَیْنَهُمْ
بِالْحَقِّ
وَقِیْلَ
الْحَمْدُ
لِلّٰهِ
رَبِّ
الْعٰلَمِیْنَ
۟۠
3

আল্লাহ তা'আলা যখন জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের ফায়সালা শুনিয়ে দেয়া এবং তাদেরকে তাদের আবাসস্থলে পৌঁছিয়ে দেয়ার অবস্থা বর্ণনা করা হতে ফারেগ হলেন এবং তাতে নিজের আদল ও ইনসাফ প্রমাণ করলেন, তখন এই আয়াতে তিনি স্বীয় নবী (সঃ)-কে সংবাদ দিলেন যে, হে নবী (সঃ)! কিয়ামতের দিন তুমি ফেরেশতাদেরকে দেখতে পাবে যে, তারা আরশের চতুষ্পর্শ্বে ঘিরে তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে। আর সমস্ত মাখলুকের মধ্যে ন্যায়ের সাথে বিচার করা হবে। এই সরাসরি ন্যায় ও করুণাপূর্ণ ফায়সালায় খুশী হয়ে সারা বিশ্বজগত আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করতে শুরু করবে এবং প্রাণী ও নির্জীব বস্তু হতে শব্দ উঠবেঃ (আরবী) অর্থাৎ “সমুদয় প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর প্রাপ্য।” যেহেতু ঐ সময় প্রত্যেক শুষ্ক ও সিক্ত জিনিস আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করবে সেই হেতু এখানে (আরবী) বা কর্মবাচ্যের রূপ আনয়ন করে কর্তাকে (আরবী) বা সাধারণ করা হয়েছে। হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, মাখলুককে সৃষ্টি করার সূচনাও হয়েছে আল্লাহর প্রশংসা দ্বারা। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।” (৬:১) আর মাখলুকের পরিসমাপ্তিও হয়েছে প্রশংসা দ্বারা। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তাদের মধ্যে বিচার করা হবে ন্যায়ের সাথে; বলা হবে- প্রশংসা জাতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য।”

Maksimalkan pengalaman Quran.com Anda!
Mulai tur Anda sekarang:

0%