Anda sedang membaca tafsir untuk kelompok ayat dari 30:52 hingga 30:53
فَاِنَّكَ
لَا
تُسْمِعُ
الْمَوْتٰى
وَلَا
تُسْمِعُ
الصُّمَّ
الدُّعَآءَ
اِذَا
وَلَّوْا
مُدْبِرِیْنَ
۟
وَمَاۤ
اَنْتَ
بِهٰدِ
الْعُمْیِ
عَنْ
ضَلٰلَتِهِمْ ؕ
اِنْ
تُسْمِعُ
اِلَّا
مَنْ
یُّؤْمِنُ
بِاٰیٰتِنَا
فَهُمْ
مُّسْلِمُوْنَ
۟۠
3

৫২-৫৩ নং আয়াতের তাফসীরআল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! কবরের মৃত ব্যক্তিদেরকে কিছু শুনানো তোমার সাধ্যের অতীত। মৃত ব্যক্তি, যারা কবরে আছে, তাদেরকে তোমার কথা শুনানো যেমন অসম্ভব, তেমনিই কানে যারা বধির, যারা শুনেও শুনে না, যারা তোমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাদেরকেও তুমি তোমার কথা শুনাতে পারবে না। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি হক হতে অন্ধ হয়ে গেছে তাকে তুমি পথ দেখাতে ও হিদায়াত করতে পারবে না। হ্যা, আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। যদি তিনি চান তবে মৃতকে জীবিতদের কথা শুনাতে পারেন। সুপথ দেখানো ও পথভ্রষ্ট করা তাঁরই কাজ। তুমি তো শুধু তাকেই শুনাতে পার যে ঈমানের নিকটবর্তী, আল্লাহর কাছে নতশির হতে প্রস্তুত ও তাঁর ফরমাবরদার বা বাধ্য। এরা হক কথা শুনে এবং মানে। এগুলো তো হলো মুসলমানদের অবস্থা। আর পূর্বে যেগুলোর বর্ণনা দেয়া হলো সেগুলো কাফিরদের অবস্থা। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তারাই আহ্বানে সাড়া দেবে যারা কান লাগিয়ে (আল্লাহর কালাম) শুনে এবং মৃতদেরকে আল্লাহ পুনরুজ্জীবিত করবেন, অতঃপর তারই নিকট তারা প্রত্যাবর্তিত হবে।” (৬:৩৬)একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, বদরের যুদ্ধে যেসব মুশরিক মুসলমানদের হাতে নিহত হয়েছিল এবং যাদেরকে বদরের উপত্যকায় নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তাদের মৃত্যুর তিন দিন পরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন তাদেরকে সম্বোধন করে ধমকের সুরে লজ্জিত করছিলেন তখন হযরত উমার (রাঃ) তাঁর নিকট আর করেছিলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! যারা মরে গেছে তাদেরকে আপনার এভাবে সম্বোধন করার কারণ কি (তারা কি শুনতে পাচ্ছে)?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছিলেনঃ “যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর কসম! আমি তাদেরকে যা বলছি তা তোমরা ততোটা শুনতে পাও না যতোটা তারা শুনতে পাচ্ছে। কিন্তু তারা উত্তর দিতে পারছে না।হযরত আয়েশা (রাঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ)-এর মুখে এ ঘটনা শুনে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এরূপ বলেছিলেনঃ “তারা এখন খুব ভালরূপেই জানছে যে, আমি তাদেরকে যা কিছু বলতাম সবই সত্য ছিল।” অতঃপর হযরত আয়েশা (রাঃ) মৃত ব্যক্তিদের শুনতে পাওয়ার দলীল -(আরবি)-এই আয়াত দ্বারা গ্রহণ করেছেন। হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে জীবিত করে দিয়েছিলেন। ফলে তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কথা শুনতে পেয়েছিল, যেন তারা যথেষ্ট লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ)-এর এ হাদীসকে সবাই সহীহ বলেছেন। কারণ এ হাদীসের বহু সাক্ষী রয়েছেন। ইবনে আবদিল বার (রঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু’রূপে একটি সহীহ রিওয়াইয়াত উল্লেখ করেছেন যে, যখন কোন লোক তার ভাই-এর কবরের পার্শ্ব দিয়ে গমন করে যাকে সে দুনিয়ায় চিনতো ও সালাম করতো, তখন আল্লাহ তা'অলা তার রূহকে ফিরিয়ে দেন, যেন সে তার সালামের উত্তর দিতে পারে।

Maksimalkan pengalaman Quran.com Anda!
Mulai tur Anda sekarang:

0%