Anda sedang membaca tafsir untuk kelompok ayat dari 2:51 hingga 2:53
وَاِذْ
وٰعَدْنَا
مُوْسٰۤی
اَرْبَعِیْنَ
لَیْلَةً
ثُمَّ
اتَّخَذْتُمُ
الْعِجْلَ
مِنْ
بَعْدِهٖ
وَاَنْتُمْ
ظٰلِمُوْنَ
۟
ثُمَّ
عَفَوْنَا
عَنْكُمْ
مِّنْ
بَعْدِ
ذٰلِكَ
لَعَلَّكُمْ
تَشْكُرُوْنَ
۟
وَاِذْ
اٰتَیْنَا
مُوْسَی
الْكِتٰبَ
وَالْفُرْقَانَ
لَعَلَّكُمْ
تَهْتَدُوْنَ
۟
3

৫১-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর এখানেও মহান আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, হযরত মূসা (আঃ) যখন চল্লিশ দিনের অঙ্গীকারে বানী ইসরাঈলের নিকট হতে তূর পাহাড়ে চলে যান তখন তারা ইতিমধ্যেই বাছুর পূজা আরম্ভ করে দেয়। অতঃপর হযরত মূসা (আঃ) তাদের নিকট ফিরে আসলে তারা এ শিরক হতে তওবা করে। তাই, আল্লাহ পাক বলেন যে, এত বড় অপরাধের পরেও তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। এটা বানী ইসরাঈলের প্রতি তাঁর কম বড় অনুগ্রহ নয়। কুরআন মাজীদের অন্য জায়গায় আছেঃ “যখন আমি মূসা (আঃ)-এর সঙ্গে ত্রিশ রাত্রির ওয়াদা করেছিলাম এবং আরও দশ বাড়িয়ে পুরো চল্লিশ করেছিলাম।' বলা হয় যে, এ ওয়াদার সময়কাল ছিল জীক’কাদার পুরো মাস এবং জিলহজ্জ মাসের দশ দিন। এটা ফিরআউনীদের হাত হতে মুক্তি পাওয়ার পরের ঘটনা। “কিতাব’-এর ভাবার্থ তাওরাত এবং ফুরকান প্রত্যেক ঐ জিনিসকে বলা হয় যা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে এবং হিদায়াত ও গুমরাহীর মধ্যে পার্থক্য করে থাকে। এ কিতাবটিও উক্ত ঘটনার পরে পেয়েছিলেন। যেমন সূরা-ই-আরাফের এ ঘটনার বর্ণনা রীতি দ্বারা প্রকাশ পাচ্ছে। অন্যত্র রয়েছে ‘আমি পূর্ব যুগীয় লোকদেরকে ধ্বংস করার পর মূসা (আঃ) কে এ কিতাব দিয়েছিলাম যা সমুদয় লোকের জন্য উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ এবং হিদায়াত ও রহমত স্বরূপ, যেন তারা উপদেশ লাভ করে।' এটাও বলা হয়েছে টি অতিরিক্ত এবং স্বয়ং কিতাবকেই ফুরকান বলা হয়েছে। কিন্তু এটা গরীব। কেউ কেউ বলেন যে, কিতাবের উপরে ফুরকানের সংযোগ হয়েছে, অর্থাৎ ‘কিতাবও দিয়েছি এবং মু'জিযাও দিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে অর্থ হিসেবে দু'টোর অর্থ একই এবং এ রকম দু’নামের একই জিনিস সংযোগরূপে আরবদের কথায় দেখা যায়। আরব কবিদের কবিতাগুলোও এর সাক্ষ্য বহন করে।