امن خلق السماوات والارض وانزل لكم من السماء ماء فانبتنا به حدايق ذات بهجة ما كان لكم ان تنبتوا شجرها االاه مع الله بل هم قوم يعدلون ٦٠
أَمَّنْ خَلَقَ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَأَنزَلَ لَكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءًۭ فَأَنۢبَتْنَا بِهِۦ حَدَآئِقَ ذَاتَ بَهْجَةٍۢ مَّا كَانَ لَكُمْ أَن تُنۢبِتُوا۟ شَجَرَهَآ ۗ أَءِلَـٰهٌۭ مَّعَ ٱللَّهِ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌۭ يَعْدِلُونَ ٦٠
اَمَّنْ
خَلَقَ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضَ
وَاَنْزَلَ
لَكُمْ
مِّنَ
السَّمَآءِ
مَآءً ۚ
فَاَنْۢبَتْنَا
بِهٖ
حَدَآىِٕقَ
ذَاتَ
بَهْجَةٍ ۚ
مَا
كَانَ
لَكُمْ
اَنْ
تُنْۢبِتُوْا
شَجَرَهَا ؕ
ءَاِلٰهٌ
مَّعَ
اللّٰهِ ؕ
بَلْ
هُمْ
قَوْمٌ
یَّعْدِلُوْنَ
۟ؕ
3

অথবা তিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং আকাশ হতে তোমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করেন; অতঃপর তা দিয়ে মনোরম উদ্যান সৃষ্টি করেন। ওর বৃক্ষাদি উদগত করার ক্ষমতা তোমাদের নেই।[১] আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? [২] তবুও ওরা এমন এক সম্প্রদায় যারা সত্য বিচ্যুত হয়। [৩]

[১] এখানে পূর্বের বাক্যের ব্যাখ্যা ও তার প্রমাণ দেওয়া হচ্ছে যে, সেই আল্লাহই সৃষ্টি, রুযী তথা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিতে একক; তাঁর কোন শরীক নেই। বলছেন যে, আকাশকে এত উঁচু ও সুন্দর করে সৃষ্টিকারী ও চলমান গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টিকারী অনুরূপ পৃথিবী ও তার মাঝে পাহাড়, নদ-নদী, সমুদ্র, গাছ-পালা, ফল-ফসল, নানা প্রকারের পশু-পক্ষী সৃষ্টিকারী, আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করে সুন্দর বাগান উৎপাদনকারী কে? তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, কেবলমাত্র পৃথিবী হতে গাছ সৃষ্টি করতে পারে? এ সবের উত্তরে মুশরিকরাও বলত এবং স্বীকার করত যে, এ সব কিছুর কর্তা একমাত্র আল্লাহ। যেমন, এ কথা কুরআনের অন্য জায়গায়ও রয়েছে। (সূরা আনকাবূত ২৯:৬৩ নং আয়াত)[২] এ সকল বাস্তবতার পরেও আল্লাহর সাথে এমন কোন্ সত্তা আছে, যে ইবাদতের যোগ্য? বা কেউ উক্ত জিনিসগুলির মধ্যে কোন একটিকে সৃষ্টি করেছে? অর্থাৎ, কেউ এমন নেই যে, সে কিছু সৃষ্টি করেছে বা ইবাদতের যোগ্য। এই সব আয়াতে أَمَّن এর অর্থ হল যে, সেই সত্তা যিনি ঐ সকল জিনিসের সৃষ্টিকর্তা, তিনি কি ওর মত, যে এর মধ্যে কোন জিনিস সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে না? (ইবনে কাসীর)[৩] يَعدِلُون এর অন্য এক অনুবাদ হল যে, তারা আল্লাহর সমকক্ষ ও সমতুল্য স্থির করে?