قُلِ
الْحَمْدُ
لِلّٰهِ
وَسَلٰمٌ
عَلٰی
عِبَادِهِ
الَّذِیْنَ
اصْطَفٰی ؕ
ءٰٓاللّٰهُ
خَیْرٌ
اَمَّا
یُشْرِكُوْنَ
۟
3

৫৯ নং আয়াতের তাফসীর:

এখানে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবীকে নির্দেশ প্রদান করেছেন, তিনি যেন আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করেন এবং তিনি যেন শান্তি কামনা করেন তাদের ওপর যাদেরকে রিসালাত দ্বারা মনোনীত করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

(سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ- وَسَلَامٌ عَلَي الْمُرْسَلِيْنَ - وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ)

“তারা যা বলে থাকে তা থেকে তোমার‎ প্রতিপালক মহিমান্বিত যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। ‘সালাম’ বর্ষিত হোক রাসূলগণের প্রতি। আর সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার, যিনি সারা বিশ্বের প্রতিপালক।” (সূরা সফফাত ৩৭:১৮০-১৮২)

তবে ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন: এখানে (علي عباده) তাঁর দাস দ্বারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদেরকে বুঝানো হয়েছে।

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যারা কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না তারা কখনো উত্তম হতে পারে না। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলাই উত্তম ও শ্রেষ্ঠ। আর সকলকে তাঁরই ইবাদত করতে হবে নতুবা কঠিন শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই প্রশংসা করতে হবে।

২. মানুষের জন্য শান্তিকামী হতে হবে। বদদু‘আ করা যাবে না।