وَمَاۤ
اَرْسَلْنَا
قَبْلَكَ
اِلَّا
رِجَالًا
نُّوْحِیْۤ
اِلَیْهِمْ
فَسْـَٔلُوْۤا
اَهْلَ
الذِّكْرِ
اِنْ
كُنْتُمْ
لَا
تَعْلَمُوْنَ
۟
3

তোমার পূর্বে পুরুষদেরকেই আমি (রসূলরূপে) প্রেরণ করেছি; [১] যাদের নিকট আমি অহী পাঠাতাম। তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর। [২]

[১] সমস্ত নবীই পুরুষ মানুষ ছিলেন। না মানুষ ছাড়া, না পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ নবী হয়েছেন। অর্থাৎ, নবুঅত শুধুমাত্র মানুষের ও পুরুষের জন্য নির্দিষ্ট। এ থেকে বোঝা গেল যে, কোন নারী নবী হননি। কারণ নবুঅতের দায়িত্ব ও কর্তব্য এমন, যা নারীদের স্বভাব ও প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

[২] এখানে أهل الذكر (আহলে ইলম বা জ্ঞানী) বলতে আহলে কিতাবকে বুঝানো হয়েছে, যারা পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের জ্ঞান রাখত। অর্থাৎ, তোমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর যে, যে সকল নবী গত হয়েছে তারা মানুষ ছিল, না অন্য কিছু? উত্তরে তারা বলবে, সমস্ত নবী মানুষই ছিলেন। এ থেকে কিছু লোক তাকলীদ (অন্ধানুকরণ) করার আবশ্যকতা প্রমাণ করেন; যা সঠিক নয়। তাকলীদ হল কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও তার নির্দিষ্ট ফিকহ (শরয়ী জ্ঞান)-কে একমাত্র অবলম্বনীয় মনে করা ও তার উপর আমল করা; অন্য কথায় তা বিনা দলীলে মেনে নেওয়া। অথচ আয়াতে আহলে যিকর বলতে কোন বিশেষ ব্যাক্তিকে বুঝানো হয়নি; বরং প্রত্যেক সেই জ্ঞানীকে বুঝানো হয়েছে যে তাওরাত ও ইঞ্জীলের জ্ঞান রাখত। বাস্তবপক্ষে এখানে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির তাকলীদ খন্ডন করা হয়েছে। আলোচ্য আয়াতে তো উলামাদের দিকে রুজু করার উপর তাকীদ রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য অপরিহার্য; যা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। এখানে কোন ব্যক্তি বিশেষের অাঁচল ধরার হুকুম দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাওরাত ও ইঞ্জীল আসমানী গ্রন্থ ছিল এবং কোন মানব রচিত ফিকহ ছিল না? সুতরাং এর অর্থ হল, উলামাদের সাহায্যে শরীয়তের উক্তি ও বক্তব্য সম্পর্কে জেনে নাও। আর এটাই হল আলোচ্য আয়াতের সঠিক মর্মার্থ।

Maksimalkan pengalaman Quran.com Anda!
Mulai tur Anda sekarang:

0%