یٰصَاحِبَیِ
السِّجْنِ
اَمَّاۤ
اَحَدُكُمَا
فَیَسْقِیْ
رَبَّهٗ
خَمْرًا ۚ
وَاَمَّا
الْاٰخَرُ
فَیُصْلَبُ
فَتَاْكُلُ
الطَّیْرُ
مِنْ
رَّاْسِهٖ ؕ
قُضِیَ
الْاَمْرُ
الَّذِیْ
فِیْهِ
تَسْتَفْتِیٰنِ
۟ؕ
3

হে আমার কারাসঙ্গীদ্বয়![১] তোমাদের একজন সম্বন্ধে কথা এই যে, সে তার প্রভুকে মদ্য পান করাবে[২] এবং অপরজন সম্বন্ধে কথা এই যে, সে শূলবিদ্ধ হবে, অতঃপর তার মস্তক হতে পাখি আহার করবে।[৩] যে বিষয়ে তোমরা জানতে চেয়েছ তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।’ [৪]

[১] তওহীদের নসীহত করার পর এখন ইউসুফ (আঃ) তাদের বর্ণনাকৃত স্বপ্নের তাৎপর্য বর্ণনা করছেন।

[২] এ সেই ব্যক্তি যে স্বপ্নে নিজেকে আঙ্গুরের জুস তৈরী করতে দেখেছিল। এর পরেও তিনি উভয়ের মধ্যে কোন একজনকে নির্দিষ্ট করেননি, যাতে যে শূলবিদ্ধ হবে, সে আগে থেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে।

[৩] এ সেই ব্যক্তি যে স্বপ্নে নিজ মাথার উপর রুটির ঝুড়ি বহন করতে দেখেছিল।

[৪] অর্থাৎ, এই সিদ্ধান্ত যা আমি স্বপ্নের তাৎপর্য হিসাবে বর্ণনা করেছি, তা পূর্ব থেকেই স্থিরীকৃত হয়ে আছে। নিঃসন্দেহে তা বাস্তবায়িত হবে। যেমন হাদীসে আছে, নবী (সাঃ) বলেছেন, যতক্ষণ স্বপ্নের তাৎপর্য বর্ণনা না করা হয়, ততক্ষণ তা পাখির পায়ে (অস্থিতিশীল) থাকে। অতঃপর যখন তার তাৎপর্য বর্ণনা করে দেওয়া হয়, তখন তা বাস্তবে সংঘটিত হয়।" (আহমাদ, ইবনে কাসীর)