ثُمَّ
بَدَا
لَهُمْ
مِّنْ
بَعْدِ
مَا
رَاَوُا
الْاٰیٰتِ
لَیَسْجُنُنَّهٗ
حَتّٰی
حِیْنٍ
۟۠
3

আল্লাহ তাআ’লা বলেন যে, ইউসুফের (আঃ) পবিত্রতা সবারই কাছে প্রকাশিত হয়ে গেল। কিন্তু এরপরও তাকে কিছুকালের জন্যে কারারুদ্ধ করে রাখাই তারা যুক্তি সঙ্গত মনে করলো। কেননা, জনগণের মধ্যে এটা ছড়িয়ে পড়েছিল যে, আযীযের স্ত্রী যুলাইখা হযরত (ইউসুফের, আঃ) প্রেমে পাগলিনী হয়ে গেছে। সুতরাং এমতাবস্থায় যদি তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয় তবে তারা মনে করবে, যে তাঁরই হয়তো পদস্খলন ঘটে থাকবে।কারণ এটাই ছিল যে, যখন মিসরের বাদশাহ কারাগার হতে মুক্তি দেয়ার জন্যে হযরত ইউসুফকে (আঃ) ডেকে পাঠান তখন তিনি জেলখানা থেকেই বলেছিলেনঃ “আমি বের হবো না যে পর্যন্ত না আমার নিরপরাধ হওয়া এবং পবিত্রতা স্পষ্টরূপে প্রকাশিত হয়ে যাবে। আমি কারাগারেই থাকবো যে পর্যন্ত বাদশাহ সাক্ষীদের মাধ্যমে এবং স্বয়ং আযীযের স্ত্রীর দ্বারা পূর্ণ সত্যতা যাচাই না করবেন যে, আমি সম্পূর্ণরূপে নিরপরাধ, আমি মোটেই বিশ্বাসঘাতকতা করি নাই। এটা সারা দুনিয়াবাসীর কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান না হওয়া পর্যন্ত আমি জেলখানা হতে বের হবে না।” অতঃপর যখন হযরত ইউসুফ (আঃ) কারাগার হতে বেরিয়ে আসেন তখন একটা লোকও এমন ছিল না যে তাঁর পবিত্রতা ও নিষ্কলুষতার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করেছিল। তাঁকে কারাগারে বন্দী করার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এই যে, যেন আযীযের স্ত্রীর বদনাম না হয়।