قل ما كنت بدعا من الرسل وما ادري ما يفعل بي ولا بكم ان اتبع الا ما يوحى الي وما انا الا نذير مبين ٩
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًۭا مِّنَ ٱلرُّسُلِ وَمَآ أَدْرِى مَا يُفْعَلُ بِى وَلَا بِكُمْ ۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰٓ إِلَىَّ وَمَآ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٌۭ مُّبِينٌۭ ٩
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

বল, ‘আমি তো কোন নতুন রসূল নই।[১] আর আমি জানি না যে, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে;[২] আমি আমার প্রতি যা অহী (প্রত্যাদেশ) করা হয় শুধু তারই অনুসরণ করি। আমি এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’

[১] অর্থাৎ, আমি তো কোন প্রথম ও নতুন রসূল নই। বরং আমার পূর্বেও অনেক রসূল এসেছেন।

[২] অর্থাৎ, দুনিয়াতে কী করা হবে, তা আমার অজানা। আমি মক্কাতেই থাকব, না এখান থেকে বহিষ্কার হতে আমাকে বাধ্য হতে হবে, আমার সাধারণ ও স্বাভাবিক মরণ হবে, না তোমাদের হাতে আমাকে হত্যা হতে হবে? তোমরা শীঘ্রই শাস্তির সম্মুখীন হবে, নাকি দীর্ঘকাল পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দেওয়া হবে? এ সবের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর নিকটেই আছে। আমার এটা জানা নেই যে, আগামী কাল আমার অথবা তোমাদের সাথে কী আচরণ করা হবে? তবে পরকাল সম্পর্কে আমি নিশ্চিত রূপে বিদিত যে, মু'মিনরা জান্নাতে এবং কাফেররা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আর হাদীসে যে বর্ণিত হয়েছে, কোন সাহাবীর মৃত্যুর সময় তাঁর ব্যাপারে সুধারণা প্রকাশ করা হলে নবী (সাঃ) বলতেন, (وَاللهِ مَا أَدْرِيْ- وأَنَا رَسُوْلُ اللهِ- مَا يُفْعَلُ بِيْ وَلاَ بِكُمْ) "আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রসূল হওয়া সত্ত্বেও এ কথা জানি না যে, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে?" (সহীহ বুখারী, মানাক্বিবুল আনসার) তো এখানে কোন এক নির্দিষ্ট ব্যক্তির সুনিশ্চিত পরিণাম সম্বন্ধে অজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। হ্যাঁ! যাঁদের (জান্নাতী হওয়ার) কথা সুস্পষ্ট দলীল দ্বারা সুসাব্যস্ত, তাঁদের ব্যাপার ভিন্ন। যেমন, সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবী এবং বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রমুখ সাহাবীগণ।