قل انما انا بشر مثلكم يوحى الي انما الاهكم الاه واحد فمن كان يرجو لقاء ربه فليعمل عملا صالحا ولا يشرك بعبادة ربه احدا ١١٠
قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠ بَشَرٌۭ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلَـٰهُكُمْ إِلَـٰهٌۭ وَٰحِدٌۭ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُوا۟ لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًۭا صَـٰلِحًۭا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدًۢا ١١٠
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

হযরত মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান (রাঃ) বলেন যে, এটা হচ্ছে সর্বশেষ আয়াত যা রাসূলুল্লাহর (সঃ) উপর অবতীর্ণ হয়। মহান আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে (সঃ) নির্দেশ দিচ্ছেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি জনগণের সামনে ঘোষণা করে দাওঃ আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। যদি তোমরা আমাকে মিথ্যাবাদী মনে করে থাকো তবে এই কুরআনের মত একটি কুরআন তোমরাও আনয়ন কর। দেখো, আমি কোন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা তো নই। তোমরা আমাকে যুলকারনাইনের ঘটনা জিজ্ঞেস করেছে এবং গুহাবাসীদের ঘটনা সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছে। আমি তাদের সঠিক ঘটনা তোমাদের সামনে বর্ণনা করে দিয়েছি যা প্রকৃত ঘটনার সাথে সম্পূর্ণরূপে মিলে গেছে। যদি আমার কাছে আল্লাহর ওয়াহী না আসতো, তবে আমি এসব অতীতের ঘটনা সঠিকভাবে কি করে তোমাদের সামনে বর্ণনা করতে পারতাম? জেনে রেখো যে, সমস্ত ওয়াহীর সারমর্ম হচ্ছেঃ তোমরা একত্ববাদী হয়ে যাও, শিরক পরিত্যাগ কর, আমার দাওয়াত এটাই। তোমাদের যে কেউ আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে বিনিময় ও পুরস্কার পেতে চায়, সে যেন শরীয়ত অনুযায়ী আমল করে এবং শিককে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করে। এ দুটো রুকন ছাড়া কোন আমলই আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। আমলে আন্তরিকতা থাকতে হবে এবং সুন্নাতের মুতাবেক হতে হবে।হযরত তাউস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, একটি লোক জিজ্ঞেস করলোঃ“হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমি এমন অনেক ভাল কাজ করি যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি এবং সাথে সাথে এটাও চাই যে, লোকেরা আমার আমল দেখুক (ও আমার সুনাম করুক! আমার এ ব্যাপারে হুকুম কি?)।”রাসূলুল্লাহ (সঃ) তার একথার কোন জবাব দিলেন না। তখন (আরবী) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (এ হাদীসটি ইবনু আবি হাতিম (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি মুরসাল) বর্ণিত আছে যে, একটি লোক হযরত উবাদা ইবনু সামিতকে (রাঃ) জিজ্ঞেস করেঃ “একটি লোক নামায পড়ে, রোযা রাখে, দান খয়রাত করে এবং হজ্ব করে, আর এগুলি দ্বারা সে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে এবং এটাও চায় যে, তার প্রশংসা করা হোক (তার ব্যাপারে হুকুম কি?)।” উত্তরে হযরত উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) বলেনঃ “তার এই সমুদয় ইবাদতই বৃথা হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমার কোন শরীক নেই। যে ব্যক্তি আমার সাথে অন্য কাউকেও শরীক করে, তার সমুদয় ইবাদত তারই জন্যে। তাতে আমার কোনই প্রয়োজন নেই।"হযরত আবু সাঈদ খদুরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমরা পালাক্রমে রাসূলুল্লাহর (সঃ) কাছে আসতাম এবং রাত্রি যাপন করতাম। তার কোন কাজ থাকলে তিনি বলে দিতেন। এরূপ লোকের সংখ্যা অনেক ছিল। একদা রাত্রে আমরা পরস্পর আলাপ আলোচনা করছিলাম এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদের নিকট আগমন করেন এবং জিজ্ঞেস করেনঃ “তোমরা এ সব কি সলা পরামর্শ করছো?” উত্তরে আমরা বললামঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমরা তাওবা করছি, আমরা মাসীহ দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম এবং আমাদের হৃদয় ভয়ে প্রকম্পিত হচ্ছিল। তখন তিনি বললেনঃ “আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও বেশী ভয়াবহ বিষয়ের খবর দেবো? সেটা হচ্ছে গোপন শিক যে, মানুষ অন্য মানুষকে দেখাবার জন্যে নামায পড়ে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)ইবনু গানাম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমি ও হযরত আবুদ দারদা (রাঃ) জাবিয়ার মসজিদে গমন করি। সেখানে হযরত উবাদা ইবনু সামিতের (রাঃ) সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। তিনি তাঁর বাম হাত দ্বারা আমার ডান হাত ধারণ করেন এবং তার ডান হাত দ্বারা হযরত আবুদ দারদার (রাঃ) বাম হাত ধরেন এবং এইভাবে আমরা তিনজন কথা বলতে বলতে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। অতঃপর তিনি আমাদের দুজনকে সম্বোধন করে বললেনঃ “দেখুন! যদি আপনাদের কোন একজন অথবা দু'জনই কিছুদিন বয়স পান তবে খুব সম্ভব যে, আপনারা ঐ সময়কেও দেখতে পাবেন যে, যারা রাসূলুল্লাহর (সঃ) যবনি থেকে কুরআন শিক্ষা করেছেন এরূপ ভাল লোক হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম জেনে প্রত্যেক হুকুমকে যথাস্থানে রেখেছেন, তারা আগমন করবেন এবং জনগণের মধ্যে তাদের কদর ও মর্যাদা এমনই হবে যেমন মৃতগাধার মাথা। আমাদের মধ্যে এইরূপ কথাবার্তা চলছিল এমন সময় হযরত শাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) ও হযরত আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) আমাদের কাছে এসে পড়লেন এবং বসে গিয়েই হযরত শাদ্দাদ (রাঃ) বললেনঃ “হে লোক সকল! আমি তোমাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী ওটারই ভয় করছি যা রাসূলুল্লাহর (সঃ) মুখে শুনেছি। অর্থাৎ গোপন প্রবৃত্তি ও শিক।" একথা শুনে হযরত উবাদা (রাঃ) ও হযরত আবুদ দারদা (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহ ক্ষমা করুন! রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদেরকে বলেছিলেনঃ “এই আরব উপদ্বীপে শয়তানের উপাসনা করা হবে এর থেকে সে নিরাশ হয়ে গেছে। তবে গোপন কুপ্রবৃত্তি ও কামভাব, এটা আমাদের জানা আছে। এটা হচ্ছে দুনিয়া ও স্ত্রী লোকদের প্রতি আকর্ষণ ইত্যাদি। কিন্তু হে শাদ্দাদ (রাঃ) ! এই শিরক আমাদের বোধগম্য হয় না যা থেকে আপনি আমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করেছেন।” তখন শাদ্দাদ (রাঃ) বলতে লাগলেনঃ “আচ্ছা বলুন তো, একটি লোক অন্যদেরকে দেখাবার জন্যে নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং দান খায়রাত করে, আপনার মতে তার হুকুম কি? সে শিরক করলো কি?" সবাই সমস্বরে বলে উঠলেনঃ “হাঁ, অবশ্যই ঐ ব্যক্তি মুশরিক। তিনি তখন বললেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি দুনিয়াকে দেখাবার জন্যে রোযা রাখে সে মুশরিক এবং যে ব্যক্তি জনগণের মধ্যে নিজেকে দাতা হিসেবে পরিচিত করার জন্যে দান খায়রাত করে সেও মুশরিক।" একথা শুনে হযরত আউস ইবনু মালিক (রাঃ) বললেনঃ “এটা হতে পারে না যে, যে আমল আল্লাহ তাআলার জন্যে হবে তা তিনি কবুল করবেন এবং যা অন্যের জন্যে তা তিনি বর্জন করবেন।” হযরত শাদ্দাদ (রাঃ) তখন বলেনঃ এটা কখনো হতে পারে না। আমি রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) বলতে শুনেছি যে, মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “আমি সবচেয়ে বড় অংশীদার। যে কেউ আমার সাথে কোন আমলে অন্যকে শরীক করে, আমি তখন আমার অংশও ঐ অন্যকেই প্রদান করি। আর আমি অত্যন্ত বেপরোয়া ভাবেই আংশিক ও পূর্ণ সব কিছুই পরিত্যাগ করি। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, একদা হযরত শাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) ক্রন্দন করতে শুরু করেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “আপনাকে কিসে কঁদালো?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “একটি হাদীস আমার স্মরণ হয়েছে এবং ওটাই আমাকে কাঁদিয়েছে। আমি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতে শুনেছিঃ “আমি আমার উম্মতের ব্যাপারে শিক ও গোপন কুপ্রবৃত্তিকেই সবচেয়ে বেশী ভয় করি।” তাকে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “হে আল্লাহর রাসুল (সঃ)! আপনার পরে কি আপনার উম্মত শিক করবে?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “হাঁ, শুনো! তারা সূর্য, চন্দ্র, পাথর এবং মূর্তির পূজা করবে না বটে, কিন্তু তারা আমলে রিয়াকরী করবে (লোক দেখানো আমল করবে)। গোপন কামভাব এই যে, সকালে রোযা রাখলো এবং যখন প্রবৃত্রি চাহিদার কোন কিছু সামনে আসলো তখন রোযা ছেড়ে দিলো।” (এ হাদীসটি সুনানে ইবনু মাজাহ্ ও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে)হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেনঃ “আমি হলাম সবচেয়ে উত্তম শরীক। আমার সাথে যে কেউ অন্যকে শরীক করে, আমি আমার নিজের অংশটাও ঐ শরীককে প্রদান করি।” (এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর বাযযার (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমি হলাম শরীকদের মধ্যে সর্বোত্তম শরীক। যে। ব্যক্তি কোন আমলে আমার সাথে অন্যকে মিলিত করে, আমি তার থেকে মুক্ত এবং তার ঐ সমস্ত আমল ঐ অন্যের জন্যেই।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত মাহমূদ ইবনু লাবীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শির্ককেই সবচেয়ে বেশী ভয় করছি।" সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আল্লাহর রাসুল (সঃ)! ছোট শিরক কি?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “রিয়া (লোক দেখানো কাজ)। কিয়ামতের দিন মানুষকে তাদের আমলের প্রতিদান দেয়ার সময় আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ “যাও, যাদের জন্যে তোমরা আমল করতে তাদের কাছেই প্রতিদান প্রার্থনা করো। দেখোতো, তাদের কাছে প্রতিদান বা পুরস্কার পাবে কি?" (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছে)আবু সাঈদ ইবনু আবি ফুযালা' আনসারী (রাঃ) যিনি সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতে শুনেছিঃ “যখন আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্তকে জমা করবেন এমন একদিন যেই দিন সম্পর্কে কোনই সন্দেহ নেই, সেই দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেনঃ “যে ব্যক্তি তার কোন আমলে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকেও মিলিয়ে নিয়েছে, সে যেন তার ঐ আমলের বিনিময় অন্যের কাছেই চেয়ে নেয়। কেননা, আল্লাহ তাআ'লা শরীকদের শিক থেকে সম্পূর্ণরূপে বেপরোয়া।" (এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (রঃ) ও ইমাম ইবনু মাজাহ (রঃ) এটাকে মুহাম্মদের (রঃ) হাদীস হতে তাখরীজ করেছেন)হযরত আবু বাকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি মানুষকে দেখাবার জন্যে আমল করেছে, লোকদেরকে দেখিয়েই তাকে শাস্তি দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি নিজের আমলের কথা লোকদেরকে শুনিয়েছে (এবং এভাবে প্রশংসা লাভ করেছে), তাকে শাস্তিও মানুষকে শুনিয়েই দেয়া হবে।” (এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতেও অনুরূপ রিওয়াইয়াত বর্ণিত আছে।হযরত ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “সৎ আমল করে গর্ব প্রকাশকারীকে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই লাঞ্ছিত করবেন, তার চরিত্র নষ্ট করবেন এবং সে জনগণের দৃষ্টিতে হেয় ও লাঞ্ছিত হবে।”এটা বর্ণনা করার পর হযরত আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। (এ হাদীসটিও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে)হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন মানুষের সৎ কার্যাবলীর মোহর লাগানো পুস্তিকা আল্লাহ তাআলার সামনে পেশ করা হবে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলবেনঃ “ওটা নিক্ষেপ কর, এটা কবুল কর। ওটা কবুল কর এবং এটা নিক্ষেপ কর।"ঐ সময় ফেরেশতাগণ আর করবেনঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! এই লোকটির আমলসমূহ তো আমরা ভাল বলেই জানি!” উত্তরে মহান আল্লাহ বলবেনঃ “যে আমলগুলি আমি নিক্ষেপ করতে বলেছি সেগুলি শুধু আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছিল না, বরং তাতে রিয়াকারী বা লোক দেখানো উদ্দেশ্যও ছিল। আজ আমি শুধু ঐ আমলগুলিই কবুল করবো যেগুলি একমাত্র আমারই সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছিল। (এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর আল বাযার (রঃ) বর্ণনা করেছেন)আবদুল্লাহ ইবনু কায়েস খুযায়ী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “যে মানুষকে দেখাবার ও শুনবার জন্যে দণ্ডায়মান হয় সে আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে থাকে যে পর্যন্ত না সে বসে পড়ে।”হযরত ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি মানুষের দেখা অবস্থায় ধীরে সুস্থে ভালভাবে নামায পড়ে এবং একাকী পড়ার সময় অমনোযোগের সাথে তাড়াহুড়া করে। নামায শেষ করে ফেলে, সে তার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত আল্লাহকে হেয় প্রতিপন্ন করে। (এ হাদীসটি আবূ ইয়ালা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন)পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আমীর মুআবিয়া (রাঃ) এই আয়াতটিকে কুরআনের শেষ আয়াত বলেছেন। কিন্তু তার এই উক্তিটি জটিলতা মুক্ত নয়। কেননা, সূরায়ে কাহফ পুরোপুরি ভাবে মক্কা শরীফেই অবতীর্ণ হয়েছে এবং এটা প্রকাশ্য ব্যাপার যে, এরপর মদিনায় রাবরই দশ বছর পর্যন্ত কুরআন কারীম অবতীর্ণ হতে থাকে। তাহলে বুঝা যায় যে, এর দ্বারা হযরত মুআবিয়ার (রাঃ) উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ এইটি শেষ আয়াত এই হিসেবে যে, এটা অন্য কোন আয়াত দ্বারা মানুসূখ হয় নাই এবং ওর হুকুমেরও কোন পরিবর্তন ঘটে নাই। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী ।একটি খুবই গরীব হাদীস হাফিয আবু বকর বায্যার (রঃ) স্বীয় কিতাবে আনয়ন করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি (আরবী) এই আয়াতটি রাত্রিকালে পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে এতো বড় নূর (জ্যোতি) দান করবেন যা আদন হতে মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।”