undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
۳

তারা কি দেখে না যে, তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে আমি বিনাশ করেছি, যাদেরকে পৃথিবীতে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, যা তোমাদেরও করিনি এবং তাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম, আর তাদের পাদদেশে নদীমালা প্রবাহিত করেছিলাম। অতঃপর তাদের পাপের জন্য তাদেরকে বিনাশ করেছি[১] এবং তাদের পরে নূতন মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করেছি। [২]

[১] অর্থাৎ, তোমাদের পূর্বেকার অনেক জাতিকে যখন তাদের পাপের কারণে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, অথচ তাদের শক্তি-সামর্থ্য তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী ছিল এবং সুখ-সমৃদ্ধি এবং জীবিকার উপায়-উপকরণাদির দিক দিয়েও তারা তোমাদের তুলনায় অনেক শ্রেষ্ঠ ছিল, তখন তোমাদেরকে ধ্বংস করা আমার জন্য কি কোন জটিল ব্যাপার? এ থেকে এ কথাও জানা গেল যে, কোন জাতির পার্থিব সম্পদের প্রাচুর্য এবং দুনিয়ার সুখ-সমৃদ্ধির আতিশয্য (জাগতিক প্রগতি) দেখে এটা যেন মনে করে না নেওয়া হয় যে, তারা বড়ই সফল। এটা তো অবকাশ দেওয়ার বহু প্রকারের এমন এক প্রকার, যা পরীক্ষা স্বরূপ আল্লাহ বিভিন্ন জাতিকে দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন অবকাশের সময়-কাল শেষ হয়ে যায়, তখন যাবতীয় পার্থিব সফলতা এবং সুখ-সমৃদ্ধি তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচাতে কোন কাজে আসে না।

[২] যাতে তাদেরকেও পূর্বের জাতিসমূহের ন্যায় পরীক্ষা করেন।