কেবল অবিশ্বাসীরাই আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্বন্ধে বিতর্ক করে,[১] সুতরাং দেশে-দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে বিভ্রান্ত না করে।[২]
[১] এই বিতর্ক থেকে অবৈধ ও বাতিল বিতর্ক বুঝানো হয়েছে। যে বিতর্কের উদ্দেশ্য হয় সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করা এবং তা খন্ডন ও ভুল প্রমাণিত করতে চেষ্টা করা। নচেৎ, যে তর্ক-বিতর্কের উদ্দেশ্য হয় সত্য স্পষ্ট করা, বাতিল খন্ডন করা এবং অস্বীকারকারী ও অভিযোগ উপস্থাপনকারীদের সংশয়-সন্দেহ নিরসন করা, সে বিতর্ক নিন্দিত নয়, বরং তা প্রশংসনীয় ও বাঞ্ছনীয় কর্ম। এমন কি উলামাগণকে এর প্রতি তাকীদ করা হয়েছে। ﴿لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلا تَكْتُمُونَهُ﴾ "তোমরা তা মানুষের নিকট অবশ্যই বর্ণনা করবে এবং তা গোপন করবে না।" (সূরা আলে ইমরান ৩:১৮৭ আয়াত) আল্লাহর নাযিল করা কিতাবের দলীলসমূহ ও প্রমাণাদিকে গোপন করা এত বড় অপরাধ যে, তার উপর বিশ্বজাহানের প্রতিটি জিনিস অভিসম্পাত করে। (সূরা বাক্বারাহ ২:১৫৯ আয়াত) তাদের সাথে সদ্ভাবে বিতর্ক কর। (সূরা নাহল ১৬:১২৫ আয়াত)
[২] অর্থাৎ, এই কাফের ও মুশরিকরা যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে, তার জন্য যে তারা বিভিন্ন শহরে যাতায়াত করে প্রচুর লাভ অর্জন করে, কিন্তু এরা নিজেদের কুফরীর কারণে অতি সত্বর আল্লাহর কাছে ধরা খাবে। এদেরকে অবকাশ অবশ্য দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এইভাবে বৃথা ছেড়ে দেওয়া হবে না।
۰%