ولا جناح عليكم فيما عرضتم به من خطبة النساء او اكننتم في انفسكم علم الله انكم ستذكرونهن ولاكن لا تواعدوهن سرا الا ان تقولوا قولا معروفا ولا تعزموا عقدة النكاح حتى يبلغ الكتاب اجله واعلموا ان الله يعلم ما في انفسكم فاحذروه واعلموا ان الله غفور حليم ٢٣٥
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِۦ مِنْ خِطْبَةِ ٱلنِّسَآءِ أَوْ أَكْنَنتُمْ فِىٓ أَنفُسِكُمْ ۚ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَـٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّآ أَن تَقُولُوا۟ قَوْلًۭا مَّعْرُوفًۭا ۚ وَلَا تَعْزِمُوا۟ عُقْدَةَ ٱلنِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبْلُغَ ٱلْكِتَـٰبُ أَجَلَهُۥ ۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ فَٱحْذَرُوهُ ۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌۭ ٢٣٥
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
۳

ভাবার্থ এই যে, স্পষ্টভাবে না বলে কেউ যদি কোন স্ত্রী লোককে তার ইদ্দতের মধ্যে কোন উত্তম পন্থায় বিয়ের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে তবে কোন পাপ নেই। যেমন তাকে বলে : আমি বিয়ে করতে চাই। আমি এরূপ এরূপ স্ত্রী লোককে পছন্দ করি। আমি চাই যে, আল্লাহ যেন আমার জোড়া মিলিয়ে দেন। ইনশাআল্লাহ আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোন স্ত্রী লোককে বিয়ে করার ইচ্ছে করবো না। আমি কোন সতী ও ধর্মভীরু স্ত্রী লোককে বিয়ে করতে চাই। অনুরূপভাবে তালাক-ই-বায়েন প্রাপ্তা নারীকেও তার ইদ্দতের মধ্যে এরূপ অস্পষ্ট শব্দগুলো বলা বৈধ। যেমন হযরত ফাতেমা বিনতে কায়েস (রাঃ) নান্নী স্ত্রী লোকটিকে যখন তাঁর স্বামী হযরত আবু আমর বিন হাফস (রাঃ) তৃতীয় তালাক দিয়ে দেন সে সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেছিলেন : “যখন তোমার ইদ্দতকাল শেষ হয়ে যাবে তখন আমাকে সংবাদ দেবে এবং তুমি ইদ্দতকাল ইবনে উম্মে মাকতুমের ওখানে অতিবাহিত করবে।'ইদ্দতকাল অতিক্রান্ত হলে হযরত ফাতেমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে অবহিত করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর বিয়ে হযরত উসামা বিন যায়েদের (রাঃ) সঙ্গে দিয়ে দেন যার তিনি ঘটকালি করেছিলেন। হাঁ, তবে যে স্ত্রীকে তালাক-ই-রাজঈ দেয়া হয়েছে তাকে তার স্বামী ছাড়া অন্য কারও অস্পষ্টভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার অধিকার নেই। তোমরা তোমাদের অন্তরে যা গোপন করে রেখেছো এর ভাবার্থ এই যে, তোমরা কোন স্ত্রী লোককে বিয়ে করার আকাংখা যে তোমাদের অন্তরে পোষণ করছে এতে তোমাদের কোন পাপ নেই। অন্য জায়গায় রয়েছে তোমার প্রভু তাদের অন্তরের গোপন কথাও জানেন এবং তিনি প্রকাশ্য কথাও জানেন।' আর এক জায়গায় রয়েছে। আমি তোমাদের গোপনীয় ও প্রকাশ্য সব কিছুই জানি।'সুতরাং আল্লাহ তা'আলা খুব ভাল ভাবেই জানেন যে, তাঁর বান্দাগণ তাদের আকাংখিতা নারীদেরকে অন্তরে স্মরণ করবে। তাই, তিনি সংকীর্ণতা সরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন গোপনে ঐ নারীদের কাছে অঙ্গীকার না নিয়ে বসে। অর্থাৎ তারা ব্যভিচার থেকে দূরে থাকে এবং যেন এই কথা না বলে আমি তোমার প্রতি আসক্ত। সুতরাং তুমিও অঙ্গীকার কর যে, আমাকে ছাড়া আর কাউকেও স্বামীরূপে গ্রহণ করবে না। ইদ্দতের মধ্যে এরূপ ভাষা প্রয়োগ করা নিষিদ্ধ। কিংবা ইদ্দতের মধ্যে গোপনে বিয়ে করে ইদ্দত শেষ হওয়ার পর তা প্রকাশ করাও বৈধ নয়। সুতরাং এই উক্তিগুলো এই আয়াতের সাধারণ নির্দেশের মধ্যে আসতে পারে।তাই ইরশাদ হচ্ছে-‘বরং বিহিতভাবে তাদের সাথে কথা বলবে। যেমন অভিভাবকদেরকে বলবে : তাড়াতাড়ি করবেন না। ইদ্দতকাল অতিক্রান্ত হলে আমাকে অবহিত করবেন ইত্যাদি। যে পর্যন্ত ইদ্দতকাল শেষ না হবে সে পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে না। আলেমদের এ বিষয়ে ইজমা রয়েছে যে, ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে শুদ্ধ নয়। যদি কেউ ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করে নেয় এবং সহবাসও হয়ে যায় তথাপি তাদেরকে পৃথক করে দিতে হবে। এখন সেই স্ত্রী তার জন্যে চিরকালের মত হারাম হয়ে যাবে না-কি ইদ্দত শেষ হওয়ার পর আবার তাকে বিয়ে করতে পারে এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। জমহূরের মতে তাকে আবার বিয়ে করতে পারে। কিন্তু ইমাম মালিক (রঃ) বলেন যে, সে চিরকালের জন্যে হারাম হয়ে যাবে। এর দলীল এই যে, হযরত উমার ফারূক (রাঃ) বলেনঃ ‘ইদ্দতের মধ্যে যে স্ত্রীর বিয়ে হয় এবং স্বামীর সাথে তার মিলন না ঘটে, এরূপ স্বামী-স্ত্রীকে পৃথক করে দেয়া হবে। যখন এই স্ত্রী তার পূর্ব স্বামীর ইদ্দতকাল শেষ করে ফেলবে তখন এই লোকটিও অন্যান্য লোকের মতই তাকে বিয়ের পয়গাম দিতে পারবে। কিন্তু যদি দু’জনের মধ্যে মিলন ঘটে যার তবুও তাদেরকে পৃথক করে দেয়া হবে। অতঃপর এই স্ত্রী লোকটি তার পূর্ব স্বামীর ইদ্দতকাল শেষ করার পর দ্বিতীয় স্বামীর ইদ্দত পালন করবে। এর পরে দ্বিতীয় স্বামী আর কখনও তাকে বিয়ে করতে পারবে না।'এই ফায়সালা দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, যেহেতু সে তাড়াহুড়া করতঃ আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করলো না। সেহেতু তাকে এই শাস্তি দেয়া হলে যে, ঐ স্ত্রী তার জন্যে চিরদিনের তরে হারাম হয়ে গেল। যেমন। হত্যাকারীকে নিহত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে বঞ্চিত করা হয়। ইমাম শাফিঈ (রঃ) ইমাম মালিক (রঃ) হতে এটা বর্ণনা করেছেন। ইমাম বায়হাকী (রঃ) বলেন যে, ইমাম মালিকের (রঃ) প্রথম উক্তি এটাই ছিল বটে, কিন্তু পরে তিনি এটা হতে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এখন তাঁর নতুন উক্তি এই যে, দ্বিতীয় স্বামী ঐ স্ত্রীকেও বিয়ে করতে পারে। কেননা, হযরত আলীর (রাঃ) ফতওয়া এটাই। হযরত উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি সনদ হিসেবে মুনকাতা। বরং হযরত মাসরূক (রঃ) বলেন যে, হযরত উমার (রাঃ) এটা হতে প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং বলেছেনঃ ‘মোহর আদায় করতঃ ইদ্দত শেষ হওয়ার পর এরা পরস্পর ইচ্ছে করলে বিয়ে করতে পারে।'অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলেন- ফ্লেনে রেখো যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের অন্তরের কথা অবগত আছেন। সুতরাং তোমরা এর প্রতি লক্ষ্য রেখে তাঁকে সদা ভয় করে চল। স্ত্রীদের সম্পর্কে তোমাদের অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের বিপরীত চিন্তাও যেন স্থান না পায়। তোমাদের অন্তরকে সদা পরিষ্কার রাখে। কু-ধারণা হতে অন্তরকে পবিত্র রাখো। খোদা ভীতির নির্দেশের সাথে সাথে মহান আল্লাহ স্বীয় দয়া ও করুণার প্রতি লোভ দেখিয়ে বলেছেন যে, বিশ্ব প্রভু আল্লাহ তাঁর বান্দাদের পাপসমূহ ক্ষমাকারী এবং তিনি সহিষ্ণু।