সুতরাং ওরা যা বলে সে বিষয়ে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা কর এবং রাত্রিকালে ও দিনের প্রান্তভাগসমূহে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর; [১] যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।[২]
[১] কোন কোন মুফাসসিরগণের মতে তসবীহ (প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা) বলতে নামায এবং এ আয়াত হতে পাঁচ অক্তের নামাযকে বুঝানো হয়েছে। সূর্য উঠার আগে ফজরের নামায, সূর্য ডোবার আগে আসরের নামায, 'রাত্রিকালে' বলতে মাগরিব ও এশার নামায এবং 'দিনের প্রান্তভাগসমূহ' বলতে যোহরের নামাযকে বুঝানো হয়েছে। কেননা যোহরের সময় দিনের প্রথম ভাগের শেষ প্রান্ত এবং দিনের শেষ ভাগের প্রথম প্রান্ত। আর কিছু উলামার মতে, এই সময় গুলোতে সাধারণভাবে আল্লাহর মহিমা তথা প্রশংসা বর্ণনার কথা বলা হয়েছে; যার মধ্যে নামায, কুরআন পাঠ, যিকর, দু'আ ও নফল ইবাদত সবই শামিল। অর্থ এই যে, তুমি মক্কার মুশরিকদের মিথ্যা ভাবার কারণে অধৈর্য ও মনঃক্ষুণ্ণ হবে না; বরং আল্লাহর মহিমা ও প্রশংসা বর্ণনা করতে থাকো। আল্লাহ যখন ইচ্ছা করবেন তাদেরকে পাকড়াও করবেন।[২] এর সম্পর্ক 'পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর'-এর সাথে। অর্থাৎ উক্ত সময়গুলোতে আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর এই আশায় যে আল্লাহর নিকট এমন মর্যাদা ও সুউচ্চ স্থান প্রাপ্ত হবে, যাতে তুমি সন্তুষ্ট ও খোশ হয়ে যাবে।
۰%