You are reading a tafsir for the group of verses 34:24 to 34:27
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

২৪-২৭ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা এটা সাব্যস্ত করছেন যে, শুধু তিনিই সৃষ্টিকারী ও আহার্যদাতা এবং একমাত্র তিনিই ইবাদতের যোগ্য। যেমন তারা স্বীকার করে যে, আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণকারী এবং যমীন হতে ফসল উৎপন্নকারী একমাত্র আল্লাহ। অনুরূপভাবে তাদের এটাও মেনে নেয়া উচিত যে, ইবাদতের যোগ্য একমাত্র তিনিই। এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি এই কাফির মুশরিকদেরকে বলঃ যখন আমাদের ও তোমাদের মধ্যে এতো মতানৈক্য ও মতভেদ রয়েছে তবে এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একদল হিদায়াতের উপর এবং অপর দল বিভ্রান্তির উপর রয়েছে। এটা হতে পারে না যে, দুই দলই হিদায়াতের উপর রয়েছে বা দুই দলই বিভ্রান্তির উপর রয়েছে। আমরা হলাম একতুবাদী এবং আমরা একত্ববাদের স্পষ্ট ও জাজ্বল্যমান দলীল-প্রমাণাদি বর্ণনা করেছি। আর তোমরা রয়েছে শিরকের উপর, যার কোন দলীল তোমাদের কাছে নেই। সুতরাং নিঃসন্দেহে আমরা হিদায়াতের উপর রয়েছি এবং তোমরা রয়েছে বিভ্রান্তির উপর। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাহাবীগণ মুশরিকদেরকে এ কথাই বলেছিলেনঃ “আমাদের দুইটি দলের মধ্যে একটি দল অবশ্যই সত্যের উপর রয়েছে। কেননা, এরূপ বিপরীতমুখী দুটি দলই সত্যের উপর থাকা অসম্ভব। এটা বিবেক-বুদ্ধির কাছেও অসম্ভবই বটে।এ আয়াতের একটি অর্থ নিম্নরূপও বর্ণনা করা হয়েছেঃ আমরাই আছি হিদায়াতের উপর এবং তোমরা আছ ভ্রান্তির উপর। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোন সম্পর্কই নেই। আমরা তোমাদের হতে ও তোমাদের আমল হতে সম্পূর্ণরূপে দায়িত্বমুক্ত। হ্যা, তবে আমরা যে পথে রয়েছি তোমরাও যদি সেই পথে চলে আসে তাহলে অবশ্যই তোমরা আমাদের হবে এবং আমরা তোমাদের হবে। অন্যথায় আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোনই সম্পর্ক থাকবে না। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “(হে নবী সঃ)! তারা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন বা অবিশ্বাস করে তবে তুমি তাদেরকে বলে দাও আমার আমল আমার জন্যে এবং তোমাদের আমল তোমাদের জন্যে। তোমরা আমার আমল হতে দায়িত্বমুক্ত এবং আমিও তোমাদের আমল হতে দায়িত্বমুক্ত।”(১০:৪১)।সূরায়ে কাফিরূনে বলা হয়েছে:(হে নবী সঃ)! তুমি বল- হে কাফিরগণ! আমি তার ইবাদত করি না যার ইবাদত তোমরা কর এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি, এবং আমি ইবাদতকারী নই তার যার ইবাদত তোমরা করে আসছে। আর তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন তোমাদের, আমার দ্বীন আমার।”জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি কাফির ও মুশরিকদেরকে বলে দাও আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ কিয়ামতের মাঠে সকলকে একত্রিত করবেন এবং তাদের মধ্যে সঠিক ফায়সালা করে দিবেন। সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কার এবং দুষ্কর্মকারীদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। ঐ দিন আমাদের সত্যতা প্রকাশ হয়ে পড়বে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “কিয়ামতের দিন সবাই পৃথক পৃথক হয়ে যাবে। মুমিনরা ও সৎকর্মশীলরা বাগ-বাগিচার মধ্যে আমোদ-আহ্লাদে সময় কাটাবে। আর যারা কুফরী করেছে, আমার আয়াতসমূহকে, আখিরাতের সাক্ষাৎকে আবিশ্বাস করেছে। তারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।” (৩০:১৪) আল্লাহ তা'আলা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম ফায়সালাকারী এবং তিনি সর্বজ্ঞ।এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেন, তুমি কাফির ও মুশরিকদেরকে বলে দাওতোমরা আমায় তাদেরকে দেখিয়ে দাও যাদেরকে তোমরা শরীকরূপে আল্লাহর সাথে জুড়ে দিয়েছো। না, কখনো না। তোমরা আল্লাহর শরীক হিসেবে তাদেরকে দেখাতে সক্ষম হবে না। কেননা, তিনি তো তুলনাবিহীন এবং শরীকবিহীন। তিনি একক। তিনি পরাক্রমশালী। তিনি সকলকেই নিজের অধিকারভুক্ত করে রেখেছেন। তিনি সবারই উপর বিজয়ী। তিনি প্রজ্ঞাময়। তিনি অতি পবিত্র ও মহান। মুশরিকরা তার প্রতি যে অপবাদ দেয় তা থেকে তিনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র।