৮৯-৯০ নং আয়াতের তাফসীর হযরত শুআ’ইব (আঃ) তাঁর কওমকে বলেনঃ “হে আমার কওম! তোমরা আমার প্রতি শত্রুতা ও হিংসায় পড়ে কুফরী ও পাপ কার্যে লিপ্ত হয়ে পড়ো না; নচেৎ তোমাদের উপর ঐ শাস্তিই এসে পড়বে যা তোমাদের পূর্বে তোমাদের ন্যায় আমলকারীদের উপর এসেছিল। বিশেষ করে হযরত লূতের (আঃ) কওম তো তোমাদের অদূর যুগেই ছিল। তাদের যুগ তোমাদের থেকে বেশী দূরে নয় এবং তাদের বাসস্থানও তোমাদের বাসভূমির অতি নিকটবর্তী। তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী পাপরাশির জন্যে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। আমার প্রতিপালক এইরূপ লোকদের উপর অত্যন্ত দয়ালু হয়ে যান এবং তাদেরকে নিজের প্রিয় বান্দা বানিয়ে নেন যারা এইভাবে নিজেদের পাপের জন্যে তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাঁরই দিকে ফিরে যায়। ইবনু আবি লায়লা আল-কিনদী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ “আমি আমার মনিবের জন্তুটি ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। জনগণ হযরত উসমানের (রাঃ) বাড়ী অবরোধ করেছিল। তিনি বাড়ীর ভিতর হতে মাথা উঁচু করে আমাদেরকে উপরোক্ত আয়াতটি পাঠ করে শুনিয়ে দেন। অতঃপর তিনি বলেন, “হে আমার কওম! তোমরা আমাকে হত্যা করো না। তোমরা তো এইরূপ ছিলে।” এ কথা বলার সময় তিনি স্বীয় অঙ্গুলীর মধ্যে অঙ্গুলী প্রবেশ করিয়ে দেন অর্থাৎ এক হাতের অঙ্গুলীর মধ্যে আর এক হাতের অঙ্গুলী প্রবেশ করান।” (এটা ইবনু আবি হা’তিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। হযরত উসমানের (রাঃ) অঙ্গুলীর মধ্যে অঙ্গুলী প্রবেশ করিয়ে দেখানোর তাৎপর্য এই যে, সাহাবীগণ তো একে অপরের ভাইরুপে কালাতিপাত করতেন। কিন্তু হযরত উসমানের (রাঃ) যুগে ভুল বুঝাবুঝির কারণে তাঁরা তাঁর শক্ত হয়ে যান। তাই, তিনি তাদেরকে পূর্বাবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দেন)