وامنوا بما انزلت مصدقا لما معكم ولا تكونوا اول كافر به ولا تشتروا باياتي ثمنا قليلا واياي فاتقون ٤١
وَءَامِنُوا۟ بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًۭا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا۟ أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا۟ بِـَٔايَـٰتِى ثَمَنًۭا قَلِيلًۭا وَإِيَّـٰىَ فَٱتَّقُونِ ٤١
وَاٰمِنُوْا
بِمَاۤ
اَنْزَلْتُ
مُصَدِّقًا
لِّمَا
مَعَكُمْ
وَلَا
تَكُوْنُوْۤا
اَوَّلَ
كَافِرٍۭ
بِهٖ ۪
وَلَا
تَشْتَرُوْا
بِاٰیٰتِیْ
ثَمَنًا
قَلِیْلًا ؗ
وَّاِیَّایَ
فَاتَّقُوْنِ
۟

তোমাদের কাছে যা আছে তার সত্যায়নকারীরূপে আমি যা অবতীর্ণ করেছি তা বিশ্বাস কর। আর তোমরাই ওর (১) প্রথম অবিশ্বাসকারী হয়ো না এবং আমার আয়াতের বিনিময়ে স্বল্প মূল্য (২) গ্রহণ করো না। তোমরা শুধু আমাকেই ভয় কর।

(১) بِه (ওর) সর্বনাম দ্বারা ক্বুরআনকে বুঝানো হয়েছে অথবা মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে। আর উভয় মতই সঠিক। কেননা, দু'টিই আপোসে অবিচ্ছেদ্য। যে ক্বুরআনের সাথে কুফরী করল, সে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাথেও কুফরী করল। আর যে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাথে কুফরী করল, সে ক্বুরআনের সাথেও কুফরী করল। (ইবনে কাসীর) 'প্রথম অবিশ্বাসকারী হয়ো না' এর অর্থ, প্রথমতঃ তোমাদের যে জ্ঞান রয়েছে, অন্যরা সে জ্ঞান থেকে বঞ্চিত। কাজেই তোমাদের দায়িত্ব সর্বাধিক। দ্বিতীয়তঃ মদীনায় ইয়াহুদীদেরকেই সর্বপ্রথম ঈমানের প্রতি আহবান জানানো হয়েছিল; যদিও হিজরতের পূর্বে অনেক মানুষ ইসলাম কবুল করে নিয়েছিল। তাই সতর্ক করা হচ্ছে যে, ইয়াহুদীদের মধ্যে তোমরা প্রথম অবিশ্বাসকারী হয়ো না। কারণ, যদি তোমরা তা হও, তাহলে সমস্ত ইয়াহুদীদের কুফরী ও অবিশ্বাস করার (পাপের) বোঝা তোমাদের উপর চাপব

(২) 'আমার আয়াতের বিনিময়ে স্বল্প মূল্য গ্রহণ করো না' এর অর্থ এই নয় যে, বেশী মূল্য পেলে ইলাহী বিধানের বিনিময়ে তা গ্রহণ করো। বরং অর্থ হল, ইলাহী বিধানসমূহের মোকাবেলায় পার্থিব সবার্থকে কোন প্রকার গুরুত্ব দিও না। আল্লাহর বিধানসমূহের মূল্য এত বেশী যে, দুনিয়ার বিষয়-সম্পদ এর মোকাবেলায় খুবই তুচ্ছ; কিছুই না। উক্ত আয়াতে বানী-ইসরাঈলকে সম্বোধন করা হলেও এই নির্দেশ কিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল মানুষের জন্য। যে ব্যক্তি সত্যকে বাতিল, বাতিলকে প্রতিষ্ঠা অথবা জ্ঞানকে গোপন করার কাজে জড়িত হবে এবং কেবল পার্থিব স্বার্থের খাতিরে সত্য-প্রতিষ্ঠা করা ত্যাগ করবে, সেও এই ধমকের অন্তর্ভুক্ত। (ফাতহুল ক্বাদীর)