زين للذين كفروا الحياة الدنيا ويسخرون من الذين امنوا والذين اتقوا فوقهم يوم القيامة والله يرزق من يشاء بغير حساب ٢١٢
زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ۘ وَٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ فَوْقَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ ۗ وَٱللَّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍۢ ٢١٢
زُیِّنَ
لِلَّذِیْنَ
كَفَرُوا
الْحَیٰوةُ
الدُّنْیَا
وَیَسْخَرُوْنَ
مِنَ
الَّذِیْنَ
اٰمَنُوْا ۘ
وَالَّذِیْنَ
اتَّقَوْا
فَوْقَهُمْ
یَوْمَ
الْقِیٰمَةِ ؕ
وَاللّٰهُ
یَرْزُقُ
مَنْ
یَّشَآءُ
بِغَیْرِ
حِسَابٍ
۟

সত্য প্রত্যাখ্যানকারী (কাফের)দের জন্য পার্থিব জীবন সুশোভিত করা হয়েছে। তারা বিশ্বাসী (মুমিন)গণকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে থাকে।[১] অথচ যারা ধর্মভীরু তারা শেষ বিচারের দিন তারা তাদের ঊর্ধ্বে (বেহেশ্তে) থাকবে । আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা (ইহ-পরকালে) অশেষ জীবিকা দান করে থাকেন।[২]

[১] যেহেতু বেশীরভাগ মুসলিমরা দরিদ্র ছিল, পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। তাই কাফেররা অর্থাৎ, মক্কার কুরাইশরা তাদেরকে নিয়ে উপহাস করত। যেমন, প্রত্যেক যুগের বিত্তশালীদের চিরাচরিত এই একই রীতি।

[২] ঈমানদারদের দরিদ্রতাময় এবং বিলাসবিহীন জীবনের কারণে কাফেররা যে তাদের নিয়ে উপহাস ও বিদ্রূপ করত, সে কথা উল্লেখ করে বলা হচ্ছে যে, কিয়ামতের দিন এই দরিদ্র মানুষগুলো তাদের আল্লাহভীরুতার গুণে শীর্ষস্থান লাভ করবে। 'অশেষ জীবিকা'র সম্পর্ক আখেরাত ও দুনিয়া দু'টোরই সাথে হতে পারে। কেননা, কয়েক বছরের মধ্যেই মহান আল্লাহ এই দরিদ্র লোকদের জন্য দেশ বিজয়ের দরজা খুলে দিয়েছিলেন, যার ফলে পার্থিব ভোগসামগ্রী ও রুযীর প্রাচুর্য নেমে এসেছিল তাদের জীবনে।