ومنهم من يقول ربنا اتنا في الدنيا حسنة وفي الاخرة حسنة وقنا عذاب النار ٢٠١
وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِى ٱلدُّنْيَا حَسَنَةًۭ وَفِى ٱلْـَٔاخِرَةِ حَسَنَةًۭ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١
وَمِنْهُمْ
مَّنْ
یَّقُوْلُ
رَبَّنَاۤ
اٰتِنَا
فِی
الدُّنْیَا
حَسَنَةً
وَّفِی
الْاٰخِرَةِ
حَسَنَةً
وَّقِنَا
عَذَابَ
النَّارِ
۟

পক্ষান্তরে তাদের মধ্যে (এমন কিছু লোক আছে) যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর [১] এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে দোযখ-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর।’

[১] অর্থাৎ, ভাল কাজ করার তাওফীক দান কর। অর্থাৎ, ঈমানদাররা দুনিয়াতেও দুনিয়া চায় না, বরং নেকীর কাজের তাওফীক কামনা করে। নবী করীম (সাঃ) খুব বেশী বেশী এই দু'আটি পড়তেন। তাওয়াফ করাকালীন অনেক লোকে প্রত্যেক চক্করে পৃথক পৃথক দু'আ পড়ে থাকে, যা মনগড়া দু'আ। এই দু'আগুলোর পরিবর্তে তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী এবং হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে 'রাববানা আ-তিনা ফিদ্দুনয়া হাসানাহ---' পড়া সুন্নত।

(প্রকাশ থাকে যে, আলোচ্য আয়াতে 'ইহকালের কল্যাণ'-এর তাৎপর্যে একাধিক তফসীর বর্ণিত হয়েছে; যেমনঃ পুণ্যময়ী স্ত্রী, ইবাদত, ইলম ও ইবাদত, মাল-ধন, নিরাপত্তা, প্রশস্ত রুযী, নেয়ামত বা সম্পদ ইত্যাদি। সুতরাং এর অর্থ ব্যাপক রাখাই বাঞ্ছনীয়। পক্ষান্তরে পরকালের সাথে ইহকালের সুখ-শান্তি চাওয়াও দোষাবহ নয়। আসলে কিছু লোক কেবল ইহকালের সুখই কামনা করে; কিন্তু মুসলিম কামনা করে ইহ-পরকাল উভয়ের সুখ। -সম্পাদক)