اَلشَّهْرُ
الْحَرَامُ
بِالشَّهْرِ
الْحَرَامِ
وَالْحُرُمٰتُ
قِصَاصٌ ؕ
فَمَنِ
اعْتَدٰی
عَلَیْكُمْ
فَاعْتَدُوْا
عَلَیْهِ
بِمِثْلِ
مَا
اعْتَدٰی
عَلَیْكُمْ ۪
وَاتَّقُوا
اللّٰهَ
وَاعْلَمُوْۤا
اَنَّ
اللّٰهَ
مَعَ
الْمُتَّقِیْنَ
۟

নিষিদ্ধ (পবিত্র) মাসের পরিবর্তে নিষিদ্ধ (পবিত্র) মাস এবং সকল নিষিদ্ধ (পবিত্র) জিনিসের জন্য এরূপ বিনিময়।[১] সুতরাং যে তোমাদেরকে (ঐ মাসে) আক্রমণ করবে, তোমরাও তাকে অনুরূপ (মাসে) আক্রমণ কর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ সাবধানীদের সাথী।

[১] হিজরী সনের ৬ষ্ঠ বছরে যুলহজ্জ মাসে রসূল (সাঃ) চৌদ্দশ সাহাবীদেরকে সাথে নিয়ে উমরাহ করার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু মক্কার কাফেররা তাঁদেরকে প্রবেশ করতে বাধা দিল এবং আপোসে ফায়সালা এই হল যে, আগামী বছর মুসলিমরা তিন দিনের জন্য উমরাহ করার উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে। মাসটা ছিল 'হারাম' (যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ) মাসসমূহের একটি মাস। পরের বছরে চুক্তি অনুযায়ী মুসলিমরা যখন উক্ত মাসেই উমরা করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন, তখন মহান আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন। উদ্দেশ্য এই যে, এবারও যদি মক্কার কাফেররা এই মাসের সম্মান রক্ষা না করে (গতবারের মত) তোমাদেরকে মক্কায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়, তবে তোমরাও এর মর্যাদার কোন খেয়াল না করে তাদের সাথে পূর্ণ উদ্যমে মোকাবেলা কর। 'সকল নিষিদ্ধ (পবিত্র) জিনিসের জন্য এরূপ বিনিময়' অর্থাৎ, তারা যদি নিষিদ্ধ মাসের সম্মান রক্ষা করে, তাহলে তোমরাও তার সম্মান রক্ষা কর। অন্যথা তোমরাও এই সম্মানকে দৃষ্টিচ্যুত করে কাফেরদেরকে উপদেশমূলক শিক্ষা দাও। (ইবনে কাসীর)