وَالْبَلَدُ
الطَّیِّبُ
یَخْرُجُ
نَبَاتُهٗ
بِاِذْنِ
رَبِّهٖ ۚ
وَالَّذِیْ
خَبُثَ
لَا
یَخْرُجُ
اِلَّا
نَكِدًا ؕ
كَذٰلِكَ
نُصَرِّفُ
الْاٰیٰتِ
لِقَوْمٍ
یَّشْكُرُوْنَ
۟۠

উৎকৃষ্ট ভূমি তার প্রতিপালকের নির্দেশে ফসল উৎপন্ন করে এবং যা নিকৃষ্ট তাতে কঠিন পরিশ্রম ব্যতীত কিছুই জন্মায় না।[১] এভাবে কৃতজ্ঞ সম্প্রদায়ের জন্য আমি নিদর্শনসমূহ বিভিন্নভাবে বিবৃত করে থাকি।

[১] এ অর্থ ছাড়া এটি দৃষ্টান্তও হতে পারে। الْبَلَدُ الطَّيِّبُ (উৎকৃষ্ট ভূমি) এর অর্থ বুদ্ধিমান এবং الْبَلَدُ الْخَبِيْثُ (নিকৃষ্ট ভূমি)এর অর্থ স্থূলবুদ্ধি। ওয়ায-নসীহত গ্রহণকারী অন্তর এবং এর বিপরীত অন্তর। মু'মিনের অন্তর অথবা মুনাফিকের অন্তর। অথবা পাক-পবিত্র মানুষ ও নাপাক-অপবিত্র মানুষ। পাক-পবিত্র ও ওয়ায-নসীহত গ্রহণকারী মু'মিনের অন্তর হল বৃষ্টিকে গ্রহণকারী যমীনের মত। আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে তাদের ঈমান ও নেক আমলে আরো দৃঢ়তা সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে অন্য অন্তর এর বিপরীত লবণাক্ত যমীনের মত হয়; যা বৃষ্টির পানি গ্রহণই করে না, আবার করলেও নামমাত্র, যার দ্বারা ফসলাদিও অতি অল্প নগণ্য হয়। এই বিষয়টাকেই একটি হাদীসে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। রসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে জ্ঞান ও হিদায়াত দিয়ে মহান আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন, তার দৃষ্টান্ত মাটির উপর মুষলধারায় বর্ষিত প্রচুর বৃষ্টির মত। যে ভূমি পরিষ্কার ও ঊর্বর হয়, তা ঐ পানি গ্রহণ করে অনেক ঘাস ও ফল-ফসল উৎপন্ন করে। আর ভূমির কিছু অংশ শক্ত, যা ঐ পানি ধরে রাখে। আল্লাহ তার সাহায্যে মানব-জাতির কল্যাণ করেন। মানুষ তা নিজেরা পান করে, পশুদেরকে পান করায় এবং সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপন্ন করে। আর তার কিছু অংশ পাথুরে থাকে, যা বৃষ্টির পানি ধরে রাখে না এবং ঘাসও উৎপন্ন করে না। এটাই হচ্ছে সেই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত যে আল্লাহর দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং আল্লাহ আমাকে যা দিয়ে পাঠিয়েছেন, তার দ্বারা সে লাভবান হয়। সে নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকেও শিক্ষা দেয়। আর এটা সেই লোকেরও দৃষ্টান্ত, যে কিছুই শিখে না এবং যে হিদায়াত দিয়ে আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন, তাও সে গ্রহণ করে না।" (বুখারী, ইলম অধ্যায়)