واذ قالت امة منهم لم تعظون قوما الله مهلكهم او معذبهم عذابا شديدا قالوا معذرة الى ربكم ولعلهم يتقون ١٦٤
وَإِذْ قَالَتْ أُمَّةٌۭ مِّنْهُمْ لِمَ تَعِظُونَ قَوْمًا ۙ ٱللَّهُ مُهْلِكُهُمْ أَوْ مُعَذِّبُهُمْ عَذَابًۭا شَدِيدًۭا ۖ قَالُوا۟ مَعْذِرَةً إِلَىٰ رَبِّكُمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ ١٦٤
وَاِذْ
قَالَتْ
اُمَّةٌ
مِّنْهُمْ
لِمَ
تَعِظُوْنَ
قَوْمَا ۙ
للّٰهُ
مُهْلِكُهُمْ
اَوْ
مُعَذِّبُهُمْ
عَذَابًا
شَدِیْدًا ؕ
قَالُوْا
مَعْذِرَةً
اِلٰی
رَبِّكُمْ
وَلَعَلَّهُمْ
یَتَّقُوْنَ
۟

আর স্মরণ কর, যখন তাদের একদল বলেছিল, ‘আল্লাহ যাদেরকে ধ্বংস করবেন কিংবা কঠোর শাস্তি দেবেন তোমরা তাদেরকে সদুপদেশ দাও কেন?’[১] তারা বলেছিল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের নিকট দোষ মুক্তির জন্য এবং যাতে তারা সাবধান হয় এ জন্য।’

[১] এই একদল বলতে সৎলোকের ঐ দলকে বুঝানো হয়েছে, যারা ঐ ধোঁকার কৌশল অবলম্বন করেনি এবং কৌশল অবলম্বনকারীদেরকে বুঝাতে বুঝাতে নিরাশ হয়ে পড়েছিল। এ ছাড়াও অন্য কিছু লোক ছিল, যারা তাদেরকে উপদেশ দান করত। সৎলোকের এই দল তাদেরকে বলত, এমন লোকেদেরকে উপদেশ দিয়ে কি লাভ, যাদের ভাগ্যে রয়েছে ধ্বংস ও আল্লাহর আযাব? অথবা এই দল বলতে ঐ সকল সীমালংঘনকারী আল্লাহর অবাধ্যদেরকে বুঝানো হয়েছে, যখন তাদেরকে উপদেশ দানকারীরা উপদেশ দিত, তখন তারা বলত যে, যখন তোমাদের ধারণায় আমাদের ভাগ্যে ধ্বংস ও আল্লাহর আযাবই আছে, তাহলে আমাদেরকে উপদেশ দাও কেন? তারা উত্তরে বলত প্রথমতঃ প্রতিপালকের নিকট ওযর পেশ করার জন্য, যাতে আমরাও আল্লাহর পাকড়াও হতে বাঁচতে পারি। কারণ, পাপ করতে দেখা এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা না করাও এক পাপ। যার উপর আল্লাহর পাকড়াও হতে পারে। আর দ্বিতীয়তঃ হয়ত বা লোকেরা আল্লাহর আদেশ লংঘন করা হতে বিরত থাকতে পারে। প্রথম ব্যাখ্যার দিক দিয়ে তিনটি দল হয়ঃ (ক) আল্লাহর অবাধ্য ও শিকারকারী দল। (খ) এমন দল যারা শিকারকারীও ছিল না ও নিষেধকারীও ছিল না। (গ) এমন দল যারা অবাধ্য ছিল না; বরং সীমালংঘনকারীদের উপদেশ দিত। দ্বিতীয় ব্যাখ্যার দিক দিয়ে দুটি দলের কথা বুঝা যায়ঃ প্রথম সীমালংঘনকারীদের এবং দ্বিতীয় নিষেধকারীদের দল।