وحيل بينهم وبين ما يشتهون كما فعل باشياعهم من قبل انهم كانوا في شك مريب ٥٤
وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ كَمَا فُعِلَ بِأَشْيَاعِهِم مِّن قَبْلُ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ فِى شَكٍّۢ مُّرِيبٍۭ ٥٤
وَحِیْلَ
بَیْنَهُمْ
وَبَیْنَ
مَا
یَشْتَهُوْنَ
كَمَا
فُعِلَ
بِاَشْیَاعِهِمْ
مِّنْ
قَبْلُ ؕ
اِنَّهُمْ
كَانُوْا
فِیْ
شَكٍّ
مُّرِیْبٍ
۟۠

এদের এবং এদের কামনার মধ্যে অন্তরাল সৃষ্টি করা হয়েছে,[১] যেমন করা হয়েছিল এদের পূর্ববর্তীদের ক্ষেত্রে। [২] ওরা ছিল বিভ্রান্তিকর সন্দেহে সন্দিহান। [৩]

[১] অর্থাৎ, কিয়ামত দিবসে তারা চাইবে, তাদের ঈমান গ্রহণ করে নেওয়া হোক, শাস্তি থেকে তাদের পরিত্রাণ হয়ে যাক। কিন্তু তাদের ও তাদের মনোবাঞ্ছার মাঝে পর্দা স্থাপন করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাদের সেই মনোবাঞ্ছা রদ করা হবে।

[২] অর্থাৎ, পূর্ববর্তী উম্মতের ঈমানও সেই সময় গ্রহণ করা হয়নি, যখন তারা শাস্তি স্বচক্ষে অবলোকন করার পর ঈমান এনেছিল।

[৩] সুতরাং বর্তমানে শাস্তি অবলোকন করার পর তাদের ঈমান কিভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? ক্বাতাদা (রঃ) বলেন, 'সন্দেহ থেকে দূরে থাক। কারণ, যে ব্যক্তি সন্দেহ রাখা অবস্থায় ইন্তিকাল করবে, সে সেই অবস্থায় পুনরুত্থান করবে এবং যে ব্যক্তি প্রত্যয় রাখা অবস্থায় ইন্তিকাল করবে, সে কিয়ামতের দিন প্রত্যয় রাখা অবস্থায় পুনরুত্থান করবে।' (ইবনে কাসীর)