او يكون لك بيت من زخرف او ترقى في السماء ولن نومن لرقيك حتى تنزل علينا كتابا نقروه قل سبحان ربي هل كنت الا بشرا رسولا ٩٣
أَوْ يَكُونَ لَكَ بَيْتٌۭ مِّن زُخْرُفٍ أَوْ تَرْقَىٰ فِى ٱلسَّمَآءِ وَلَن نُّؤْمِنَ لِرُقِيِّكَ حَتَّىٰ تُنَزِّلَ عَلَيْنَا كِتَـٰبًۭا نَّقْرَؤُهُۥ ۗ قُلْ سُبْحَانَ رَبِّى هَلْ كُنتُ إِلَّا بَشَرًۭا رَّسُولًۭا ٩٣
اَوْ
یَكُوْنَ
لَكَ
بَیْتٌ
مِّنْ
زُخْرُفٍ
اَوْ
تَرْقٰی
فِی
السَّمَآءِ ؕ
وَلَنْ
نُّؤْمِنَ
لِرُقِیِّكَ
حَتّٰی
تُنَزِّلَ
عَلَیْنَا
كِتٰبًا
نَّقْرَؤُهٗ ؕ
قُلْ
سُبْحَانَ
رَبِّیْ
هَلْ
كُنْتُ
اِلَّا
بَشَرًا
رَّسُوْلًا
۟۠

অথবা তোমার একটি স্বর্ণনির্মিত গৃহ হবে,[১] অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করবে; কিন্তু তোমার আকাশ আরোহণ আমরা কখনো বিশ্বাস করবো না, যতক্ষণ তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ না করবে; যা আমরা পাঠ করব।’[২] বল, ‘পবিত্র মহান আমার প্রতিপালক! আমি তো শুধু একজন মানুষ, একজন রসূল মাত্র।’[৩]

[১] زُخْرُفٌ এর প্রকৃত অর্থ, সৌন্দর্য। مُزَخْرَفٌ সৌন্দর্যখচিত জিনিসকে বলা হয়। তবে এখানে তার অর্থ হল, স্বর্ণনির্মিত।

[২] অর্থাৎ, আমাদের প্রত্যেকেই তা পরিষ্কারভাবে পড়তে পারবে।

[৩] অর্থাৎ, আমার প্রতিপালকের আছে সব রকমের শক্তি। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সমূহ দাবীকে এক মুহূর্তে كُنْ (হও) শব্দ দ্বারা পূরণ করে দিবেন। কিন্তু আমার ব্যাপারটা হল, আমি (তোমাদেরই মত) একজন মানুষ। কোন মানুষ এ জিনিসগুলো করার শক্তি রাখে কি, যা আমার কাছে তোমরা দাবী করছ? হ্যাঁ, মানুষ হওয়ার সাথে সাথে আমি আল্লাহর একজন রসূলও বটি। তবে রসূলের কাজ শুধু আল্লাহর বার্তা পৌঁছে দেওয়া। আর তা আমি পৌঁছে দিয়েছি এবং পৌঁছাতে আছি। মানুষের দাবী অনুযায়ী মু'জিযা প্রদর্শন করা রিসালাতের কোন অংশ নয়। অবশ্য আল্লাহর ইচ্ছায় রিসালাতের সত্যতা প্রমাণের জন্য এক-আধটা মু'জিযা প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু মানুষের চাহিদা মত মু'জিযা দেখানো শুরু করে দিলে এর গতি কোথাও গিয়ে থামবে না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ চাহিদা মোতাবেক নতুন মু'জিযা দেখার আকাঙ্ক্ষী হবে এবং এর ফলে রসূল কেবল এই কাজেই লেগে থাকবেন। তবলীগ ও দাওয়াতের আসল কাজেই মন্দা পড়ে যাবে। সুতরাং মু'জিযার বিকাশ কেবল আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটা সম্ভব। আর তাঁর ইচ্ছা সেই কৌশল ও ভাল-মন্দের দিক বিচার অনুযায়ী হয়, যার জ্ঞান তিনি ব্যতীত আর কারো কাছে নেই। আর আমার জন্যও তাঁর ইচ্ছার মধ্যে হস্তক্ষেপ করা বৈধ নয়।