يدبر الامر من السماء الى الارض ثم يعرج اليه في يوم كان مقداره الف سنة مما تعدون ٥
يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ إِلَى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِى يَوْمٍۢ كَانَ مِقْدَارُهُۥٓ أَلْفَ سَنَةٍۢ مِّمَّا تَعُدُّونَ ٥
یُدَبِّرُ
الْاَمْرَ
مِنَ
السَّمَآءِ
اِلَی
الْاَرْضِ
ثُمَّ
یَعْرُجُ
اِلَیْهِ
فِیْ
یَوْمٍ
كَانَ
مِقْدَارُهٗۤ
اَلْفَ
سَنَةٍ
مِّمَّا
تَعُدُّوْنَ
۟

তিনি আকাশ হতে পৃথিবী পর্যন্ত সকল বিষয় পরিচালনা করেন,[১] অতঃপর সমস্ত কিছুই তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে -- যা তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান।[২]

[১] 'আকাশ হতে' যেখানে আল্লাহর আরশ ও 'লাওহে মাহফূয' আছে। আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে নির্দেশাবলী অবতীর্ণ করেন; অর্থাৎ বিশ্ব পরিচালনা করেন এবং পৃথিবীতে তাঁর হুকুম বাস্তবায়িত হয়। যেমন জীবন-মৃত্যু, সুস্থতা-অসুস্থতা, চাওয়া-পাওয়া, ধনবত্তা-দরিদ্রতা, যুদ্ধ-সন্ধি, সম্মান-অসম্মান ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা আরশের উপর থেকে তাঁর লিখিত ভাগ্য অনুযায়ী এ সব কিছুর তদবীর ও ব্যবস্থাপনা করে থাকেন।[২] অর্থাৎ, তাঁর ঐ সকল ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশাবলী তাঁর নিকট একই দিনে ফিরে আসে যা ফিরিশতাগণ নিয়ে অবতীর্ণ হন। তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হতে যে সময় লাগে তা ফিরিশতা ছাড়া অন্যদের জন্য এক হাজার বছর হবে। অথবা এর অর্থ হল, "অতঃপর একদিন সমস্ত কিছুই (বিচারের জন্য) প্রত্যাবর্তিত হবে-- যে দিনের দৈর্ঘ্য হবে তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান।" উদ্দেশ্য হল কিয়ামতের দিন; যেদিন মানুষের সকল আমল আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে। উক্ত 'দিন' কোন্ দিন তা নির্দিষ্ট করে বলতে ও ব্যাখ্যা করতে মুফাসসিরগণের মাঝে অনেক মতভেদ রয়েছে। ইমাম শাওকানী (রঃ) এই বিষয়ে ১৫/১৬ টি মত উল্লেখ করেছেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) এই বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে নীরব থাকতে পছন্দ করেছেন এবং তার প্রকৃত উদ্দেশ্য আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছেন। আয়সারুত তাফাসীরের লেখক বলেন, এ কথা কুরআন মাজীদের তিন জায়গায় এসেছে এবং তিন জায়গাতেই আলাদা আলাদা দিনের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। সূরা হজ্জের ২২:৪৭ নং আয়াতে 'দিন' বলতে আল্লাহর নিকট যে সময় তা বুঝানো হয়েছে এবং সূরা মাআরিজের ৭০:৪ নং আয়াতে দিনের দৈর্ঘ্য পঞ্চাশ হাজার বছর বলা হয়েছে। তার উদ্দেশ্য কিয়ামত দিবস। আর এখানে 'দিন' বলতে উদ্দেশ্য হল, দুনিয়ার শেষ দিন; যখন দুনিয়ার সকল ব্যাপার নিঃশেষ হয়ে আল্লাহর নিকট ফিরে যাবে। (অল্লাহু আ'লাম)