তোমাদের সহযোগিতায় ওরা কুণ্ঠিত,[১] যখন বিপদ আসে, তখন তুমি দেখবে মৃত্যুভয়ে বেহুঁশ ব্যক্তির মত চোখ উলটিয়ে ওরা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে।[২] কিন্তু যখন বিপদ চলে যায়, তখন ওরা যুদ্ধলব্ধ ধনের লালসায়[৩] তোমাদের সাথে বাক্চাতুরী করে।[৪] ওরা বিশ্বাসী নয়;[৫] এ জন্য আল্লাহ ওদের কার্যাবলী নিষ্ফল করেছেন।[৬] আর আল্লাহর জন্য এ সহজ।[৭]
[১] অর্থাৎ, তোমাদের সাথে খাল খনন করে তোমাদের সাহায্য করতে অথবা আল্লাহর পথে খরচ করতে অথবা তোমাদের সঙ্গী হয়ে লড়াই করতে তারা কুণ্ঠিত।
[২] এটা তাদের কাপুরুষতা ও দুর্বল মনোবলের অবস্থা।
[৩] দ্বিতীয় অর্থ হল, কল্যাণের স্পৃহা তাদের মধ্যে না থাকার ফলে। অর্থাৎ, উল্লিখিত দোষ-ত্রুটি থাকার সাথে সাথে তারা কল্যাণ থেকেও বঞ্চিত।
[৪] অর্থাৎ, নিজেদের বাহাদুরি, বীরত্ব ও শক্তিমত্তার ব্যাপারে আস্ফালন করে থাকে। অথচ তা একেবারে মিথ্যা আস্ফালন। অথবা গনীমতের মাল ববণ্টনের সময় নিজেদের বাকচাতুরির জোরে লোকেদেরকে প্রভাবান্বিত করে বেশি বেশি মাল অর্জনের অপচেষ্টা করে। কাতাদা (রঃ) বলেন, 'গনীমতের মাল বণ্টনের সময় এরা (মুসলিমদের ব্যাপারে) সব থেকে বেশী কার্পণ্য করে এবং সবচেয়ে বড় ভাগ অর্জন করার চেষ্টা করে। আর যুদ্ধের সময় সব থেকে বেশী কাপুরুষতা প্রদর্শন করে এবং সাথীদেরকে অসহায় রেখে ময়দান ছেড়ে পলায়ন করে।'
[৫] অর্থাৎ, মন থেকে। বরং এরা মুনাফিক, কারণ এদের অন্তর কুফর ও বিদ্বেষে পরিপূর্ণ হয়ে আছে।
[৬] কারণ তারা মুশরিক ও কাফেরই। আর কাফের ও মুশরিকদের আমল বাতিল ও পন্ড, যাতে কোন নেকী ও সওয়াব নেই। অথবা أحبط - أظهرএর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ তাদের আমল যে বাতিল, তা আল্লাহ প্রকাশ করে দিয়েছেন। কারণ তাদের এমন আমলই নেই যে, তারা নেকীর দাবীদার হবে অথচ আল্লাহ তাদের আমলকে বাতিল করে দিবেন। (ফাতহুল ক্বাদীর)
[৭] অর্থাৎ, তাদের আমল বিনষ্ট করে দেওয়া অথবা তাদের মুনাফিক্বী।