রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরের প্রতি আহবানের মত গণ্য করো না;[১] তোমাদের মধ্যে যারা চুপি চুপি সরে পড়ে, আল্লাহ তাদের জানেন।[২] সুতরাং যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয়[৩] অথবা কঠিন শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে ।
[১] এর একটি অর্থ হল, যেভাবে তোমরা এক অপরকে নাম ধরে ডাক, রসূলকে ঐভাবে ডাকবে না। যেমন 'ওহে মুহাম্মাদ!' না বলে 'হে আল্লাহর রসূল! হে আল্লাহর নবী' ইত্যাদি বলে ডাকবে। (এটি ছিল তাঁর জীবিতকালের নির্দেশ; যখন তাঁকে ডাকা সাহাবাদের প্রয়োজন হত)। এর দ্বিতীয় অর্থ হল, রসূলের বদ্দুআকে অন্যান্যদের বদ্দুআর মত ভেবো না। কারণ নবীর দু'আ কবুল হয়। অতএব তোমরা নবীর বদ্দুআ নেওয়া হতে দূরে থাক; নচেৎ তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
[২] এ ছিল মুনাফিকদের আচরণ। পরামর্শ সভা হতে তারা চুপিচুপি বেরিয়ে পড়ত।
[৩] 'বিপর্যয়' বলতে অন্তরের সেই বত্রুতাকে বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে ঈমান হতে বঞ্চিত করে ফেলে। এ হল নবী (সাঃ)-এর আদেশ থেকে বিমুখতা প্রদর্শন করা এবং তাঁর বিরোধিতা করার পরিণাম। আর ঈমান থেকে বঞ্চনা ও কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ জাহান্নামের চিরস্থায়ী শাস্তির কারণ; যেমন আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে। অতএব নবী (সাঃ)-এর আদর্শ, তরীকা ও সুন্নতকে সব সময় সামনে রাখা উচিত। কারণ, যেসব কথা ও কাজ সুন্নত মোতাবেক হবে তা আল্লাহর নিকটে গ্রহণীয়; অন্যথা সব প্রত্যাখ্যাত। নবী (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি এমন কর্ম করবে যাতে আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।" (মুসলিম)