তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম; তার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার পরিজনকে ফিরিয়ে দিলাম, তাদের সাথে তাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ করুণা স্বরূপ এবং উপাসনাকারীদের জন্য উপদেশ স্বরূপ। [১]
[১] পবিত্র কুরআনে আইয়ুব (আঃ)-কে ধৈর্যশীল বলা হয়েছে। (সূরা স্বাদঃ ৩৮:৪৪) এর অর্থ, তাঁকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলা হয়েছিল, যাতে তিনি ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা করতে ছাড়েননি। এই পরীক্ষা ও দুঃখ-কষ্ট কি ধরনের ছিল তার কোন প্রামাণিক বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও কুরআনের বর্ণনা হতে বুঝতে পারা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে ধন-দৌলত, সন্তানাদি দান করেছিলেন। অতঃপর পরীক্ষা স্বরূপ তিনি এক সময় তাঁর কাছ হতে সমস্ত কিছু কেড়ে নিলেন। এমনকি তিনি শারীরিক সুস্থতা থেকেও বঞ্চিত হলেন এবং নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। কথিত আছে যে, আঠারো বছর দীর্ঘ পরীক্ষার পর তিনি আল্লাহর সমীপে প্রার্থনা করলেন। আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন এবং সুস্থতার সাথে সাথে ধন-দৌলত ও সন্তানাদি দ্বিগুণ দান করলেন। (এর কিছু ব্যাখ্যা সহীহ ইবনে হিববান এর একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়ঃ ৪/২৪৪, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮/২০৮) বিপদে আপত্তি, অভিযোগ ও অনুযোগ করা এবং ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করা ধৈর্যের পরিপন্থী। আর এ সকল কাজ আইয়ুব (আঃ) কখনও করেননি। অবশ্য মুক্তি প্রার্থনা ধৈর্যের পরিপন্থী নয়। সেই কারণে আল্লাহ তাআলা তার জন্য "আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম" শব্দ ব্যবহার করেছেন।