ووهبنا له اسحاق ويعقوب وجعلنا في ذريته النبوة والكتاب واتيناه اجره في الدنيا وانه في الاخرة لمن الصالحين ٢٧
وَوَهَبْنَا لَهُۥٓ إِسْحَـٰقَ وَيَعْقُوبَ وَجَعَلْنَا فِى ذُرِّيَّتِهِ ٱلنُّبُوَّةَ وَٱلْكِتَـٰبَ وَءَاتَيْنَـٰهُ أَجْرَهُۥ فِى ٱلدُّنْيَا ۖ وَإِنَّهُۥ فِى ٱلْـَٔاخِرَةِ لَمِنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ٢٧
وَوَهَبْنَا
لَهٗۤ
اِسْحٰقَ
وَیَعْقُوْبَ
وَجَعَلْنَا
فِیْ
ذُرِّیَّتِهِ
النُّبُوَّةَ
وَالْكِتٰبَ
وَاٰتَیْنٰهُ
اَجْرَهٗ
فِی
الدُّنْیَا ۚ
وَاِنَّهٗ
فِی
الْاٰخِرَةِ
لَمِنَ
الصّٰلِحِیْنَ
۟

আমি ইব্রাহীমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের জন্য স্থির করলাম নবুঅত ও গ্রন্থ[১] এবং আমি তাকে পৃথিবীতে পুরস্কৃত করলাম;[২] পরকালেও সে নিশ্চয়ই সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম হবে। [৩]

[১] অর্থাৎ, ইসহাক (আঃ) এর ঔরসে ইয়াকূব (আঃ)-এর জন্ম হয়। (ইয়াকূব (আঃ)-এর অপর নাম ছিল ইস্রাঈল।) যাঁর ঔরসে বানী ইস্রাঈল বংশের সূত্রপাত হয় এবং তাদের মধ্যেই সমস্ত নবী আগমন করেন ও আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়। শেষ পর্যায়ে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ইবরাহীম (আঃ)-এর দ্বিতীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশে জন্মলাভ করে নবী হন এবং তাঁর উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়।

[২] এখানে পুরস্কার বা প্রতিদান বলতে পৃথিবীর জীবিকা এবং সুনাম ও সুখ্যাতিও। অর্থাৎ, পৃথিবীর সকল ধর্মের লোক (খ্রিষ্টান, ইয়াহুদী এমনকি পৌত্তলিকরাও) ইবরাহীম (আঃ)-কে সম্মান ও শ্রদ্ধেয়ভাজন গণ্য করে থাকে। আর মুসলিমরা তো ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মাদর্শের অনুসারী। তিনি তাদের নিকট সম্মানের পাত্র হবেন না কেন?

[৩] অর্থাৎ, পরকালেরও তিনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং সৎ লোকদের দলভুক্ত হবেন। এই বিষয়টি অন্যত্র এভাবে বলা হয়েছে,

{وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} (১৩০) سورة البقرة

{وَآتَيْنَاهُ فِي الْدُّنْيَا حَسَنَةً وَإِنَّهُ فِي الآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ } (১২২) سورة النحل