قال قد وقع عليكم من ربكم رجس وغضب اتجادلونني في اسماء سميتموها انتم واباوكم ما نزل الله بها من سلطان فانتظروا اني معكم من المنتظرين ٧١
قَالَ قَدْ وَقَعَ عَلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ رِجْسٌۭ وَغَضَبٌ ۖ أَتُجَـٰدِلُونَنِى فِىٓ أَسْمَآءٍۢ سَمَّيْتُمُوهَآ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُم مَّا نَزَّلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَـٰنٍۢ ۚ فَٱنتَظِرُوٓا۟ إِنِّى مَعَكُم مِّنَ ٱلْمُنتَظِرِينَ ٧١
قَالَ
قَدْ
وَقَعَ
عَلَیْكُمْ
مِّنْ
رَّبِّكُمْ
رِجْسٌ
وَّغَضَبٌ ؕ
اَتُجَادِلُوْنَنِیْ
فِیْۤ
اَسْمَآءٍ
سَمَّیْتُمُوْهَاۤ
اَنْتُمْ
وَاٰبَآؤُكُمْ
مَّا
نَزَّلَ
اللّٰهُ
بِهَا
مِنْ
سُلْطٰنٍ ؕ
فَانْتَظِرُوْۤا
اِنِّیْ
مَعَكُمْ
مِّنَ
الْمُنْتَظِرِیْنَ
۟

হূদ বলল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি ও ক্রোধ[১] তো তোমাদের উপর নির্ধারিত হয়েই আছে, তবে কি তোমরা আমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাও এমন কতকগুলি নাম সম্বন্ধে,[২] যার নামকরণ তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষেরা করেছে এবং সে সম্বন্ধে আল্লাহ কোন সনদ পাঠাননি? সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি।’

[১] رِجْسٌ এর তো প্রকৃত অর্থ হয় নাপাকী-অপবিত্রতা। তবে এখানে এটা رِجْزٌ এর বিকৃত রূপ। যার অর্থ হল, শাস্তি। অথবা رِجْسٌ এখানে অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ অর্থে ব্যবহার হয়েছে। (ইবনে কাসীর)

[২] এ থেকে সেই নামগুলো বুঝানো হয়েছে, যেগুলো তারা তাদের উপাস্যদের জন্য রেখে নিয়েছিল। যেমন, স্বাদা, স্বুমূদ, হাবা ইত্যাদি। অনুরূপ নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের পাঁচটি মূর্তি ছিল এবং যাদের নাম আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন। (১৮৪নং টীকা দ্রঃ) এইভাবে আরবের মুশরিকদের মূর্তিদের নাম ছিল, লাত, মানাত, উয্যা, হুবাল ইত্যাদি। অথবা যেমন, বর্তমানে শিরকীয় আকীদা ও আমলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নাম রেখে নিয়েছে। যেমন, 'দাতা গাঞ্জ-বাখশ', 'খাজা গারীব নেওয়ায', 'বাবা ফারীদ শাকার গাঞ্জ', 'মুশকিল কুশা', গওসে আযম', 'দস্তগীর' ইত্যাদি; যাদের উপাস্য অথবা বিপদ দূরকারী অথবা সুখ-সমৃদ্ধি দানকারী হওয়ার কোনই দলীল তাদের কাছে নেই।