فلما اتاهما صالحا جعلا له شركاء فيما اتاهما فتعالى الله عما يشركون ١٩٠
فَلَمَّآ ءَاتَىٰهُمَا صَـٰلِحًۭا جَعَلَا لَهُۥ شُرَكَآءَ فِيمَآ ءَاتَىٰهُمَا ۚ فَتَعَـٰلَى ٱللَّهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ ١٩٠
فَلَمَّاۤ
اٰتٰىهُمَا
صَالِحًا
جَعَلَا
لَهٗ
شُرَكَآءَ
فِیْمَاۤ
اٰتٰىهُمَا ۚ
فَتَعٰلَی
اللّٰهُ
عَمَّا
یُشْرِكُوْنَ
۟

সুতরাং তিনি যখন তাদেরকে এক পূর্ণাঙ্গ সন্তান দান করেন, তখন তারা তাদেরকে যা দেওয়া হয়, সে সম্বন্ধে আল্লাহর অংশী করে।[১] কিন্তু তারা যাকে অংশী করে আল্লাহ তা অপেক্ষা অনেক ঊর্ধ্বে।

[১] এখানে শরীক করার অর্থ এমন নামকরণ করা, যাতে শিরক হয়; যেমন ইমাম বখশ, গোলাম পীর, আব্দুর রসূল, বান্দা (বন্দে) আলী ইত্যাদি। যাতে প্রকাশ হয় যে, এই সন্তান অমুক সাহেবের দান অথবা তার দাস। 'নাউযু বিল্লাহি মিন যালিক।' অথবা এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, আমি অমুক পীরের মাযারে গিয়েছিলাম, আর সেখান থেকেই এই সন্তান লাভ হয়েছে। অথবা সন্তান লাভের পর কোন মৃত ব্যক্তির নামে নযর-নিয়ায দেওয়া। অথবা সন্তানকে কোন মাযারে নিয়ে গিয়ে তার মাথা সেখানে ঠেকানো; এই ধারণায় যে, তারই বর্কতেই এই সন্তান হয়েছে। এই সকল কর্মই আল্লাহর সাথে শরীক করার পর্যায়ভুক্ত; যা দুর্ভাগ্যক্রমে মুসলিম জনসাধারণের মধ্যেও বিস্তার লাভ করেছে। পরবর্তী আয়াতে মহান আল্লাহ শিরকের খন্ডন করেছেন।