আনুগত্য করা ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলা।[১] সুতরাং জিহাদের সিদ্ধান্ত হলে[২] যদি তারা আল্লাহকে দেওয়া অঙ্গীকার পূরণ করত, [৩] তাহলে তাদের জন্য এটা মঙ্গলজনক হত। [৪]
[১] অর্থাৎ, জিহাদের নির্দেশ পেয়ে বিচলিত না হয়ে তাদের জন্য এটাই উত্তম ছিল, শুনে আনুগত্য করার মনোভাব প্রদর্শন করা এবং নবী করীম (সাঃ)-এর ব্যাপারে কোন অসভ্য কথা না বলে উত্তম কথা বলা। أوْلَى শব্দের অর্থ এখানে أَجْدَرُ (উত্তম)। আর এই অর্থকেই ইবনে কাসীর (রঃ) গ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ أولى শব্দটিকে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক শব্দ অর্থাৎ, বদ্দুআমূলক শব্দ বলে গণ্য করেছেন। مَعْنَاهُ قَارَبَهُ مَا يُهْلِكُهُ (তাদের ধ্বংস অতি নিকটেই) অর্থাৎ, তাদের ভীরুতা ও মুনাফিক্বীই তাদের ধ্বংসের কারণ হবে। এই হিসাবে طَاعَةٌ وَقَوْلٌ مَّعْرُوْفٌ হবে সম্পূর্ণ এক নতুন বাক্য; যার উদ্দেশ্যপদ এটি এবং বিধেয়পদ হবে خَيْرٌ لَكُمْ যা এখানে ঊহ্য আছে। (ফাতহুল ক্বাদীর, আয়সারুত তাফাসীর)
[২] অর্থাৎ, জিহাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এবং তার সময় এসে গেলে।
[৩] অর্থাৎ, এখনও যদি তারা মুনাফিক্বী ত্যাগ করে নিজেদের নিয়তকে আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ করে নিত। অথবা রসূল (সাঃ)-এর সামনে তাঁর সঙ্গী হয়ে জিহাদ করার যে অঙ্গীকার করেছিল, তাতে যদি আল্লাহর নিকট তারা সত্যতার প্রমাণ দিত।
[৪] অর্থাৎ, মুনাফিক্বী ও বিরুদ্ধাচরণের স্থলে তওবা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন মঙ্গলজনক হত।