قال كذالك قال ربك هو علي هين ولنجعله اية للناس ورحمة منا وكان امرا مقضيا ٢١
قَالَ كَذَٰلِكِ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَىَّ هَيِّنٌۭ ۖ وَلِنَجْعَلَهُۥٓ ءَايَةًۭ لِّلنَّاسِ وَرَحْمَةًۭ مِّنَّا ۚ وَكَانَ أَمْرًۭا مَّقْضِيًّۭا ٢١
قَالَ
كَذٰلِكِ ۚ
قَالَ
رَبُّكِ
هُوَ
عَلَیَّ
هَیِّنٌ ۚ
وَلِنَجْعَلَهٗۤ
اٰیَةً
لِّلنَّاسِ
وَرَحْمَةً
مِّنَّا ۚ
وَكَانَ
اَمْرًا
مَّقْضِیًّا
۟

সে বলল, ‘এই ভাবেই হবে;[১] তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং তাকে আমি এই জন্য সৃষ্টি করব, যেন সে হয় মানুষের জন্য এক নিদর্শন[২] ও আমার নিকট হতে এক অনুগ্রহ;[৩] এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।’ [৪]

[১] অর্থাৎ, এ কথা তো সত্য যে তোমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি বৈধ উপায়ে, আর না অবৈধ উপায়ে। যদিও স্বাভাবিক গর্ভ ধারণের জন্য তা অতি আবশ্যক। তবুও এভাবেই হবে।

[২] অর্থাৎ, আমি স্বাভাবিক হেতুর (মিলন সংসাধনের) মুখাপেক্ষী নই। আমার জন্য এটা অতি সহজ আর তাকে আমি আমার সৃজন-শক্তির এক নির্দশন করতে চাই। এর আগে আমি তোমাদের আদি পিতা আদমকে বিনা পুরুষ ও নারীতে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের মাতা হাওয়াকেও কেবল পুরুষ হতে সৃষ্টি করেছি। এবার ঈসাকে সৃষ্টি করে চতুর্থ পদ্ধতি সৃষ্টি করার যে ক্ষমতা তা প্রকাশ করতে চাই; আর তা হল শুধু মায়ের গর্ভ হতে বিনা পুরুষের মিলনে সৃষ্টি করা। আমি সৃষ্টির চারটি পদ্ধতিতেই সৃষ্টি করতে সমভাবে ক্ষমতাবান।

[৩] এর অর্থ নবুঅত যা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ তাঁর জন্য এবং ওদের জন্যও যারা তাঁর নবুঅতের উপর ঈমান আনবে।

[৪] এটি জিবরীলের কথারই পরিশিষ্ট; যা তিনি আল্লাহর পক্ষ হতে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ, মু'জিযামূলক (অস্বাভাবিক) সৃষ্টি আল্লাহর জ্ঞান ও তাঁর মহাশক্তি ও ইচ্ছায় স্থিরীকৃত আছে।