وقالوا ما هي الا حياتنا الدنيا نموت ونحيا وما يهلكنا الا الدهر وما لهم بذالك من علم ان هم الا يظنون ٢٤
وَقَالُوا۟ مَا هِىَ إِلَّا حَيَاتُنَا ٱلدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَآ إِلَّا ٱلدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ ٢٤
وَقَالُوْا
مَا
هِیَ
اِلَّا
حَیَاتُنَا
الدُّنْیَا
نَمُوْتُ
وَنَحْیَا
وَمَا
یُهْلِكُنَاۤ
اِلَّا
الدَّهْرُ ۚ
وَمَا
لَهُمْ
بِذٰلِكَ
مِنْ
عِلْمٍ ۚ
اِنْ
هُمْ
اِلَّا
یَظُنُّوْنَ
۟

ওরা বলে, ‘একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন, এখানেই আমরা মরি ও বাঁচি; মহাকালই আমাদেরকে ধ্বংস করে।’[১] বস্তুতঃ এ ব্যাপারে ওদের কোন জ্ঞান নেই, ওরা তো কেবল ধারণা করে মাত্র।

[১] এটা হল নাস্তিকদের এবং তাদেরই মত মক্কার মুশরিকদের উক্তি, যারা পুনর্জীবন ও পরকালকে অস্বীকার করত। তারা বলত যে, পার্থিব এই জীবনই হল প্রথম ও শেষ জীবন। এর পর আর কোন জীবন নেই এবং এতে জীবন ও মরণের যে ধারাবাহিকতা চলে আসছে, তা কেবল (প্রাকৃতিক নিয়ম বা) কাল-বিবর্তনের ফল। যেমন, দার্শনিকদের একটি দল বলে যে, প্রত্যেক ছত্রিশ হাজার বছর পর প্রতিটি জিনিস পুনরায় তার অবস্থায় ফিরে আসে। আর এই ধারাবাহিকতা কোন স্রষ্টা ও পরিচালক ছাড়াই অব্যাহত আছে এবং থাকবে। না তার কোন শুরু আছে, আর না শেষ। এ দলকে 'দাহরিয়া' বলা হয়। (ইবনে কাসীর) পরিষ্কার কথা যে, এ মতবাদ জ্ঞান ও যুক্তির পরিপন্থী এবং তা বর্ণিত (হাদীস ও কুরআনের) উক্তিরও বিপরীত। হাদীসে কুবদসীতে আছে মহান আল্লাহ বলেন, "আদম-সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়; তারা কালকে গালি দেয় (অর্থাৎ, তার প্রতি কার্যসমূহের সম্পর্ক জুড়ে তাকে গালি-গালাজ করে) অথচ (কাল স্বয়ং কিছুই নয়) আমিই হলাম কাল। আমার হাতেই (কালের) সমস্ত এখতিয়ার। আমিই রাত ও দিনের আগমন-প্রত্যাগমন ঘটাই।"(বুখারীঃ তাফসীর সূরাতুল জাসিয়াহ, মুসলিমঃ কিতাবুল আলফায)