اَفَلَا
یَتَدَبَّرُوْنَ
الْقُرْاٰنَ ؕ
وَلَوْ
كَانَ
مِنْ
عِنْدِ
غَیْرِ
اللّٰهِ
لَوَجَدُوْا
فِیْهِ
اخْتِلَافًا
كَثِیْرًا
۟

তারা কি কুরআন সম্বন্ধে চিন্তা-ভাবনা করে না? এ (কুরআন) যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো তরফ থেকে (অবতীর্ণ) হত, তাহলে নিশ্চয় তারা তাতে অনেক পরস্পর-বিরোধী কথা পেত। [১]

[১] কুরআন থেকে হিদায়াত পাওয়ার জন্য এ ব্যাপারে চিন্তা ও গবেষণা করার তাকীদ করা হচ্ছে এবং এর (কুরআনের) সত্যতা জানার মানদন্ডও বলে দেওয়া হচ্ছে। যদি এটা কোন মানুষ রচিত গ্রন্থ হত (যা কাফেররা মনে করে), তাহলে তার বিষয়-বস্তুসমূহে এবং তাতে বর্ণিত ঘটনাদির মধ্যে বড়ই পরস্পর-বিরোধিতা দেখা যেত। কারণ, প্রথমতঃ এটা কোন ক্ষুদ্র পুস্তিকা নয়, এটা এমন এক বিশাল ও বিস্তৃত গ্রন্থ; যার প্রতিটি অংশ চমৎকারিত্বে এবং সাহিত্য-শব্দালংকারে পরিপূর্ণ। অথচ মানুষের রচিত কোন বড় গ্রন্থে ভাষার মান এবং সাহিত্যময় চমৎকারিত্ব বজায় থাকে না। দ্বিতীয়তঃ এতে অতীত জাতির এমন ঘটনাবলীও বর্ণিত হয়েছে, যা অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী আল্লাহ ব্যতীত কেউ বর্ণনা করতে পারে না। তৃতীয়তঃ এই ঘটনাবলীর মধ্যে না পারস্পরিক কোন বিরোধ আছে, আর না এ সবের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর কোন অংশ কুরআনের কোন মূল বিষয়ের পরিপন্থী। অথচ কোন মানুষ অতীত ঘটনাবলী বর্ণনা করলে, তার ধারাবাহিকতার শৃঙ্খল ছিন্ন হয়ে যায় এবং তার বিশদ বর্ণনার মধ্যে বড়ই স্ববিরোধিতা সৃষ্টি হয়। কুরআন কারীমের সমূহ এই মানবিক দোষ থেকে মুক্ত হওয়ার স্পষ্ট অর্থ এই যে, অবশ্যই এটা আল্লাহর কালাম, যা তিনি ফিরিশতার মাধ্যমে তাঁর শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপর অবতীর্ণ করেছেন। (সতর্কতার বিষয় যে, অনেকে রহিত আয়াত দেখে পরস্পর-বিরোধী কথার উল্লেখ করতে পারে। কিন্তু রহিত যা তার সাথে পরবর্তী নির্দেশের পরস্পরবিরোধিতা থাকতে পারে না। যেমন আম-খাস বাক্য বাহ্যতঃ পরস্পরবিরোধী মনে হলেও, বিস্তারিত বিবরণে সে ভুল বুঝ দূর হয়ে যায়। -সম্পাদক)