ان كاد ليضلنا عن الهتنا لولا ان صبرنا عليها وسوف يعلمون حين يرون العذاب من اضل سبيلا ٤٢
إِن كَادَ لَيُضِلُّنَا عَنْ ءَالِهَتِنَا لَوْلَآ أَن صَبَرْنَا عَلَيْهَا ۚ وَسَوْفَ يَعْلَمُونَ حِينَ يَرَوْنَ ٱلْعَذَابَ مَنْ أَضَلُّ سَبِيلًا ٤٢
اِنْ
كَادَ
لَیُضِلُّنَا
عَنْ
اٰلِهَتِنَا
لَوْلَاۤ
اَنْ
صَبَرْنَا
عَلَیْهَا ؕ
وَسَوْفَ
یَعْلَمُوْنَ
حِیْنَ
یَرَوْنَ
الْعَذَابَ
مَنْ
اَضَلُّ
سَبِیْلًا
۟

সে তো আমাদের দেবতাগণ থেকে আমাদেরকে দূরে সরিয়েই দিত; যদি না আমরা তাদের আনুগত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতাম।’[১] যখন ওরা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন ওরা জানবে কে সর্বাধিক পথভ্রষ্ট।[২]

[১] অর্থাৎ, আমরা পূর্ব-পুরুষদের অন্ধ-অনুকরণ এবং প্রচলিত ধর্মের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে গায়রুল্লাহর ইবাদত হতে মুখ ফিরিয়ে নিইনি; যদিও এই পয়গম্বর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে কোন ত্রুটি করেনি! মহান আল্লাহ মুশরিকদের এই কথা বর্ণনা করে বলতে চেয়েছেন যে, তারা শিরকের উপর কিরূপ অটল যে, তারা তা নিয়ে গর্ব ও আস্ফালন করছে!

[২] অর্থাৎ, পৃথিবীতে ঐ সমস্ত মুশরিক ও গায়রুল্লাহর পূজারীদের নজরে তাওহীদপন্থীরা পথভ্রষ্ট। কিন্তু এরা যখন আল্লাহর নিকট পৌঁছবে এবং তাদের শিরকের কারণে ইলাহী আযাবে পতিত হবে, তখন জানতে পারবে যে, পথভ্রষ্ট কারা ছিল; এক আল্লাহর উপাসকরা, নাকি যেখানে সেখানে মাথা নত (সিজদা)কারীরা?