وَمَاۤ
اَرْسَلْنَا
قَبْلَكَ
مِنَ
الْمُرْسَلِیْنَ
اِلَّاۤ
اِنَّهُمْ
لَیَاْكُلُوْنَ
الطَّعَامَ
وَیَمْشُوْنَ
فِی
الْاَسْوَاقِ ؕ
وَجَعَلْنَا
بَعْضَكُمْ
لِبَعْضٍ
فِتْنَةً ؕ
اَتَصْبِرُوْنَ ۚ
وَكَانَ
رَبُّكَ
بَصِیْرًا
۟۠

তোমার পূর্বে আমি যে সব রসূল প্রেরণ করেছি তারা সকলেই তো আহার করত[১] ও হাটে-বাজারে চলাফেরা করত।[২] আমি তোমাদের মধ্যে এককে অপরের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করেছি।[৩] তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে কি? তোমার প্রতিপালক সমস্ত কিছুর সম্যক দ্রষ্টা। [৪]

[১] অর্থাৎ, তাঁরা মানুষ ছিলেন এবং খাদ্যের মুখাপেক্ষী ছিলেন।

[২] অর্থাৎ, হালাল রুযী সংগ্রহ করার মানসে উপার্জন ও বাণিজ্য করতেন। যার অর্থ হল এসব বিষয় নবুঅতী মর্যাদার পরিপন্থী নয়, যেমন কিছু লোক মনে করে।

[৩] অর্থাৎ, আমি ঐসব নবীদের এবং তাদের মাধ্যমে তাদের অনুসারীদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যাতে আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যায়। অতএব যারা পরীক্ষায় ধৈর্য ও সহনশীলতাকে আঁকড়ে ধরে থেকেছে, তারা হয়েছে সফলকাম এবং অন্যরা হয়েছে অসফল। সেই জন্য পরে বলা হয়েছে, তোমরা ধৈর্যধারণ করবে কি?

[৪] অর্থাৎ, তিনি জানেন, অহী ও রিসালাতের উপযুক্ত ও অনুপযুক্ত কে? {اللهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} (১২৪) سورة الأنعام আর হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহ আমাকে এই এখতিয়ার দিয়েছিলেন যে, আমি বাদশাহ নবী হব অথবা দাস রসূল? আমি দাস রসূল হওয়া পছন্দ করেছি। (ইবনে কাসীর)