ولقد ارسلنا موسى باياتنا الى فرعون ومليه فقال اني رسول رب العالمين ٤٦
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِـَٔايَـٰتِنَآ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ وَمَلَإِي۟هِۦ فَقَالَ إِنِّى رَسُولُ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ٤٦
وَلَقَدْ
اَرْسَلْنَا
مُوْسٰی
بِاٰیٰتِنَاۤ
اِلٰی
فِرْعَوْنَ
وَمَلَاۡىِٕهٖ
فَقَالَ
اِنِّیْ
رَسُوْلُ
رَبِّ
الْعٰلَمِیْنَ
۟

অবশ্যই মূসাকে আমি আমার নিদর্শনাবলীসহ ফিরআউন ও তার পারিষদবর্গের নিকট পাঠিয়েছিলাম; সে বলেছিল, ‘আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত।’[১]

[১] মক্কার কুরাইশরা বলেছিল যে, আল্লাহ যদি কাউকে নবী বানিয়ে প্রেরণ করতেন, তবে মক্কা ও তায়েফের কোন এমন ব্যক্তিকে প্রেরণ করতেন, যে হত প্রতিপত্তি ও বিত্তশালী এবং সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী। যেমন, ফিরআউন মূসা (আঃ)-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বলেছিল, "আমি মূসা অপেক্ষা উত্তম। এ তো আমার থেকে (মর্যাদায়) অনেক কম। এ তো পরিষ্কারভাবে কথা বলতেও পারে না।" যে কথা পরে আসছে। সম্ভবতঃ উভয় অবস্থার মধ্যে সাদৃশ্য থাকার কারণে এখানে মূসা (আঃ) ও ফিরআউনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া এতে নবী কারীম (সাঃ)-এর জন্য সান্ত্বনারও একটি দিক রয়েছে যে, মূসা (আঃ)-কেও বহু পরীক্ষার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে। সে ধৈর্য ও দৃঢ় সংকল্প অবলম্বন করেছিল। অনুরূপ তুমিও মক্কার কাফেরদের দেওয়া কষ্ট ও অভদ্র ব্যবহারে দুঃখিত না হয়ে ধৈর্য ও হিম্মত বজায় রাখ। পরিশেষে তুমিও মূসা (আঃ)-এর মত বিজয়ী ও সফল হবে। আর মক্কাবাসীরা ফিরআউনের মতই ব্যর্থ ও অসফল হবে।