আর যেদিন তিনি তাদেরকে একত্রিত করবেন, (সেদিন ওদের মনে হবে যে, দুনিয়ায়) যেন তারা দিবসের মুহূর্তকাল মাত্র অবস্থান করেছিল।[১] তারা পরস্পর একে অপরকে চিনবে।[২] বাস্তবিকই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঐসব লোক, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎকে মিথ্যা মনে করেছিল এবং তারা সৎপথপ্রাপ্ত ছিল না।
[১] অর্থাৎ হাশরের কঠিন অবস্থা দেখে তারা পৃথিবীর সমস্ত সুখ ও আরাম ভুলে যাবে এবং পার্থিব জীবন এমন মনে হবে যে, ঠিক যেন পৃথিবীতে এক-আধ ঘণ্টা বসবাস করেছে।(لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا)(দেখুন: সূরা নাযিআত ৭৯:৪৬)[২] হাশরের ময়দানে মানুষের বিভিন্ন অবস্থা হবে, যা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করা হয়েছে। একটি সময় এমনও হবে যখন একজন অপরজনকে চিনবে, কোন কোন সময় এমন হবে যে, একে অন্যকে ভ্রষ্টতার জন্য দায়ী করবে, কোন কোন সময় এমন ভয়ানক হবে যে,(فَلا أَنْسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَلا يَتَسَاءَلُونَ) "সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না।" (সূরা মু'মিনূন ২৩:১০১)