বরং তারা এমন বিষয়কে মিথ্যা মনে করেছে, যাকে নিজ জ্ঞানের পরিধিতে আনয়ন করেনি[১] এবং এখনো তাদের নিকট ওর পরিণাম (আযাব বা ব্যাখ্যা) এসে পৌঁছেনি।[২] এরূপভাবে তারাও মিথ্যা মনে করেছিল, যারা তাদের পূর্বে গত হয়েছে; অতএব দেখ সেই অত্যাচারীদের পরিণাম কি হয়েছিল? [৩]
[১] অর্থাৎ কুরআন ও তার অর্থ নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করা ছাড়াই, তাকে মিথ্যাজ্ঞান করেছে।
[২] অর্থাৎ কুরআন যে সকল পূর্বঘটিত এবং ভবিষ্যতে ঘটিতব্য ঘটনাবলী বর্ণনা করেছে, তার পূর্ণ সত্যতা ও তার প্রকৃততত্ত্ব তাদের নিকট পরিস্ফুটিত হয়নি। তার পরেও মিথ্যাজ্ঞান করতে আরম্ভ করে দিয়েছে। অথবা এর দ্বিতীয় অর্থ এই যে, তারা কুরআনের যথাযথ অধ্যয়ন না করেই মিথ্যাজ্ঞান করতে আরম্ভ করেছে। অথচ যদি তারা সঠিকভাবে তা নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করত এবং সেই সকল বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করত, যা কুরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার কথা প্রমাণ করে, তাহলে অবশ্যই তার অর্থ ও তাৎপর্য বুঝার পথ তাদের জন্য খুলে যেত। এই ব্যাখ্যায় تأويل (পরিণাম)এর অর্থ হবে, কুরআন কারীমের রহস্য, নিগূঢ় তত্ত্ব, ব্যঞ্জনা ও তাৎপর্য।
[৩] এটা সেই কাফের ও মুশরিকদের জন্য হুঁশিয়ারি ও ধমক যে, তোমাদের মত তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিরাও আল্লাহর আয়াতকে মিথ্যা মনে করেছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে তোমরা দেখে নাও? যদি তোমরা মিথ্যাজ্ঞান করা থেকে বিরত না হও, তাহলে তোমাদের পরিণতিও তাদের থেকে স্বতন্ত্র হবে না।