তুমি বল, ‘হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের নিকট সত্য এসে গেছে।[১] সুতরাং যারা সৎপথ অবলম্বন করবে, তারা তো নিজেদের মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করবে[২] এবং যারা পথভ্রষ্ট হবে, তারা তো নিজেদের ধ্বংসের জন্যই পথভ্রষ্ট হবে।[৩] আর আমি তোমাদের কর্মবিধায়ক নই।’[৪]
[১] হক বা সত্য হল কুরআন ও দ্বীন ইসলাম। যাতে আল্লাহর একতত্ত্ববাদ ও মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর রিসালাতের উপর ঈমান অন্তর্ভুক্ত।
[২] অর্থাৎ তার ফল সে নিজেই ভোগ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে।
[৩] তার ক্ষতি ও শাস্তি তার নিজের উপরেই বর্তাবে, কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। সুতরাং কেউ হিদায়াতের পথ অনুসরণ করলে তাতে আল্লাহর শক্তিতে কোন বৃদ্ধিলাভ হবে না এবং যদি কেউ কুফরী ও ভ্রষ্টতাকে বেছে নেয়, তবে তাতে আল্লাহর সার্বভৌমতত্ত্ব ও শক্তিতে কোন পার্থক্য পড়বে না। সুতরাং ঈমান ও হিদায়াতের জন্য অনুপ্রাণিত করা এবং কুফরী ও ভ্রষ্টতা থেকে বিরত থাকার জন্য তাকীদ ও ভীতি-প্রদর্শন করা, উভয়েরই উদ্দেশ্য হল, মানুষের মঙ্গল কামনা করা। আল্লাহর নিজস্ব কোন উদ্দেশ্য বা স্বার্থ নেই।
[৪] অর্থাৎ, আমাকে এই দায়িতত্ত্ব দেওয়া হয়নি যে, আমি তোমাদেরকে সর্বাবস্থাতে মুসলিম বানিয়ে ছাড়ব। বরং আমি তো শুধু সুসংবাদদাতা, সতর্ককারী, দ্বীনপ্রচারক ও তার আহবায়ক। আমার কাজ হল শুধু মু'মিনদেরকে সুসংবাদ দেওয়া, অবাধ্যদেরকে আল্লাহর আযাব ও তাঁর পাকড়াও থেকে ভীতি-প্রদর্শন করা এবং আল্লাহর বাণীর দাওয়াত ও তবলীগ করা। এই দাওয়াত মেনে কেউ ঈমান আনলে ভাল। আর কেউ না মানলে, আমার দায়িতত্ত্ব এ নয় যে, আমি তাকে জোর করে তা মানাবো।