ولين اذقناه رحمة منا من بعد ضراء مسته ليقولن هاذا لي وما اظن الساعة قايمة ولين رجعت الى ربي ان لي عنده للحسنى فلننبين الذين كفروا بما عملوا ولنذيقنهم من عذاب غليظ ٥٠
وَلَئِنْ أَذَقْنَـٰهُ رَحْمَةًۭ مِّنَّا مِنۢ بَعْدِ ضَرَّآءَ مَسَّتْهُ لَيَقُولَنَّ هَـٰذَا لِى وَمَآ أَظُنُّ ٱلسَّاعَةَ قَآئِمَةًۭ وَلَئِن رُّجِعْتُ إِلَىٰ رَبِّىٓ إِنَّ لِى عِندَهُۥ لَلْحُسْنَىٰ ۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِمَا عَمِلُوا۟ وَلَنُذِيقَنَّهُم مِّنْ عَذَابٍ غَلِيظٍۢ ٥٠
وَلَىِٕنْ
اَذَقْنٰهُ
رَحْمَةً
مِّنَّا
مِنْ
بَعْدِ
ضَرَّآءَ
مَسَّتْهُ
لَیَقُوْلَنَّ
هٰذَا
لِیْ ۙ
وَمَاۤ
اَظُنُّ
السَّاعَةَ
قَآىِٕمَةً ۙ
وَّلَىِٕنْ
رُّجِعْتُ
اِلٰی
رَبِّیْۤ
اِنَّ
لِیْ
عِنْدَهٗ
لَلْحُسْنٰی ۚ
فَلَنُنَبِّئَنَّ
الَّذِیْنَ
كَفَرُوْا
بِمَا
عَمِلُوْا ؗ
وَلَنُذِیْقَنَّهُمْ
مِّنْ
عَذَابٍ
غَلِیْظٍ
۟

দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যদি আমি তাকে অনুগ্রহের আস্বাদ দিই, তাহলে সে অবশ্যই বলবে, ‘এ আমার প্রাপ্য[১] এবং আমি মনে করি না যে, কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিতও হই, তাহলে তাঁর নিকট তো আমার জন্য কল্যাণই থাকবে।’[২] আমি সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে ওদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করব এবং ওদেরকে আস্বাদন করাব কঠিন শাস্তি।

[১] অর্থাৎ, আমি আল্লাহর নিকটে প্রিয়। তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট, এই জন্য তিনি আমাকে তাঁর নিয়ামত দান করেছেন। অথচ পার্থিব ধনবত্তা ও দারিদ্র্য এবং সুখ ও দুঃখ তাঁর সন্তুষ্টি অথবা অসন্তুষ্টির কোন নিদর্শন নয়। বরং কেবলমাত্র পরীক্ষার জন্য আল্লাহ এমন করে থাকেন। যার দ্বারা তিনি দেখতে চান যে, তাঁর নিয়ামতের কে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে এবং মসীবতে কে ধৈর্য ধারণ করে?

[২] এই প্রকার বক্তা কাফের অথবা মুনাফিক হবে। কোন মু'মিন এই ধরনের কথা বলতে পারে না। কাফেররাই এটা ধারণা করে যে, আমাদের পার্থিব জীবন যেমন মঙ্গলের সাথে অতিবাহিত হচ্ছে, তেমনি পরকালের জীবনও অতিবাহিত হবে।