واذا فعلوا فاحشة قالوا وجدنا عليها اباءنا والله امرنا بها قل ان الله لا يامر بالفحشاء اتقولون على الله ما لا تعلمون ٢٨
وَإِذَا فَعَلُوا۟ فَـٰحِشَةًۭ قَالُوا۟ وَجَدْنَا عَلَيْهَآ ءَابَآءَنَا وَٱللَّهُ أَمَرَنَا بِهَا ۗ قُلْ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَأْمُرُ بِٱلْفَحْشَآءِ ۖ أَتَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ ٢٨
وَاِذَا
فَعَلُوْا
فَاحِشَةً
قَالُوْا
وَجَدْنَا
عَلَیْهَاۤ
اٰبَآءَنَا
وَاللّٰهُ
اَمَرَنَا
بِهَا ؕ
قُلْ
اِنَّ
اللّٰهَ
لَا
یَاْمُرُ
بِالْفَحْشَآءِ ؕ
اَتَقُوْلُوْنَ
عَلَی
اللّٰهِ
مَا
لَا
تَعْلَمُوْنَ
۟

যখন তারা কোন অশ্লীল আচরণ করে, তখন বলে, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষগণকে এটা করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।’ বল, ‘আল্লাহ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ, যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই?’ [১]

[১] ইসলামের পূর্বে মুশরিকরা উলঙ্গ অবস্থায় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করত এবং বলত যে, আমরা সেই সময়ের অবস্থাকে অবলম্বন করে তাওয়াফ করি, যে অবস্থায় আমাদের মায়েরা আমাদেরকে প্রসব করেছিল। কেউ কেউ বলেছেন, তারা এর (উলঙ্গ অবস্থায় তাওয়াফ করার) ব্যাখ্যা এই করত যে, আমরা যে পোশাক পরে থাকি তাতে আমরা আল্লাহর অবাধ্যতার কাজ অনেক করি। অতএব, এই পোশাকে তাওয়াফ করা উচিত নয়। তাই পোশাক খুলে তাওয়াফ করত এবং মহিলারাও উলঙ্গ তাওয়াফ করত। কেবল নিজেদের লজ্জাস্থানের উপর কাপড়ের অথবা চামড়ার কোন টুকরা রেখে নিত। নিজেদের এই লজ্জাকর কাজের জন্য আরো দু'টি ওজুহাত তারা পেশ করত। একটি হল, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এইভাবে করতে দেখেছি। আর দ্বিতীয়টি হল, আল্লাহই আমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা তাদের কথা খন্ডন করে বলেন, এটা কিভাবে সম্ভব যে, তিনি নির্লজ্জতার নির্দেশ দেবেন? অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর উপর এমন কথা চাপিয়ে দিচ্ছ, যা তিনি বলেননি। এই আয়াতে সেই অন্ধ অনুকরণকারীদেরকে কঠোরভাবে তিরস্কার করা হয়েছে, যারা বাপ-দাদা ও পীর-বুযুর্গদের অন্ধ অনুকরণ এবং ব্যক্তিপূজায় ডুবে রয়েছে। তাদেরকেও যখন হক কথা শুনানো হয়, তখন তারাও এই ওজুহাত পেশ করে বলে যে, আমাদের বুযর্গরা এইভাবেই করেছেন অথবা আমাদের ইমাম, পীর বা শায়খের এটাই নির্দেশ। আর এটাই হল এমন অভ্যাস, যার কারণে ইয়াহুদীরা ইয়াহুদী ধর্মের উপর, খ্রিষ্টানরা খ্রিষটধর্মের উপর এবং বিদআতীরা তাদের বিদআতী কার্যকলাপের উপর কায়েম রয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর)