ولما سكت عن موسى الغضب اخذ الالواح وفي نسختها هدى ورحمة للذين هم لربهم يرهبون ١٥٤
وَلَمَّا سَكَتَ عَن مُّوسَى ٱلْغَضَبُ أَخَذَ ٱلْأَلْوَاحَ ۖ وَفِى نُسْخَتِهَا هُدًۭى وَرَحْمَةٌۭ لِّلَّذِينَ هُمْ لِرَبِّهِمْ يَرْهَبُونَ ١٥٤
وَلَمَّا
سَكَتَ
عَنْ
مُّوْسَی
الْغَضَبُ
اَخَذَ
الْاَلْوَاحَ ۖۚ
وَفِیْ
نُسْخَتِهَا
هُدًی
وَّرَحْمَةٌ
لِّلَّذِیْنَ
هُمْ
لِرَبِّهِمْ
یَرْهَبُوْنَ
۟

মূসার ক্রোধ যখন প্রশমিত হল, তখন সে ফলকগুলি তুলে নিল। যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য ওর প্রতিলিপিতে[১] ছিল পথ-নির্দেশ ও করুণা। [২]

[১] نُسخَة শব্দটি فُعلَة এর ওজনে منسوخ এর অর্থে (কপি, প্রতিলিপি)। আসল ও নকল উভয় কপিকেই نسخة বলা হয়। এখানে আসল ফলককে বুঝানো হয়েছে, যাতে তাওরাত লিখিত ছিল। অথবা নকলকৃত কপিকে বুঝানো হয়েছে, যা ফলকগুলিকে সজোরে ফেলে দেওয়ার ফলে ভেঙ্গে যাওয়ার পর নকল করা হয়েছিল। তবে প্রথমটিই সঠিক বলে মনে হয়। কেননা পরবর্তিতে বলা হচ্ছে যে, মূসা (আঃ) উক্ত ফলকগুলি তুলে নেন। যাতে বুঝা যায় যে, ফলকগুলি ভেঙ্গে যায়নি। যাই হোক, এখানে উদ্দেশ্য তার বিষয়-বস্তু।

[২] তাওরাতকেও কুরআনের মত ঐসকল লোকেদের জন্য পথনির্দেশ ও করুণা বলে গণ্য করা হয়েছে, যারা আল্লাহকে ভয় করে। কারণ আসমানী কিতাব থেকে উপকৃত এই শ্রেণীর লোকেরাই হয়ে থাকে। আর অন্যরা যেহেতু সত্য শোনা থেকে নিজেদের কানকে ও সত্য দেখা হতে নিজেদের চোখকে বন্ধ রাখে, সেহেতু তারা সাধারণতঃ এর উপকার হতে বঞ্চিত থাকে।