অবিশ্বাসীরা ধারণা করে যে, তারা কখনোই পুনরুত্থিত হবে না।[১] তুমি বল, ‘অবশ্যই হবে, আমার প্রতিপালকের কসম! তোমরা অবশ্য-অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে।[২] অতঃপর তোমরা যা করতে তোমাদেরকে সে সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করা হবে।[৩] আর এটা আল্লাহর পক্ষে অতি সহজ।’ [৪]
[১] অর্থাৎ, এই বিশ্বাস রাখে যে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে পুনরায় জীবিত করা হবে না। এটা কাফেরদের কেবল ধারণা ছিল। যে ধারণার পিছনে তাদের কোন দলীল নেই। ধারণা শব্দের প্রয়োগ মিথ্যার উপরেও হয়ে থাকে।[২] কুরআন মাজীদের তিন জায়গায় মহান আল্লাহ তাঁর রসূলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, তুমি তোমার প্রতিপালকের কসম খেয়ে ঘোষণা দাও যে, মহান আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন। তার মধ্যে একটি জায়গা হল এই আয়াতে। দ্বিতীয়টি হল সূরা ইউনুস ১০:৫৩ নং আয়াতে এবং তৃতীয়টি হল, সূরা সাবা ৩৪:৩ নং আয়াতে।[৩] এটা হল কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার যৌক্তিকতা। অর্থাৎ, মহান আল্লাহ মানুষকে পুনরায় জীবিত এই জন্য করবেন যে, যাতে সেখানে প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের বদলা দেওয়া যায়। কেননা, দুনিয়াতে আমরা দেখি যে, এই বদলা পূর্ণরূপে পাওয়া যায় না। না নেককার পায়, না বদকার। এখন কিয়ামতেও যদি পূর্ণ প্রতিদানের কোন ব্যবস্থা না থাকে, তবে দুনিয়া খেলোয়াড়দের খেলার স্থান এবং একটি অনর্থক জিনিসই বিবেচিত হবে। অথচ মহান আল্লাহর সত্তা এ সব থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। তাঁর তো কোন কাজই অনর্থক নয়। তাহলে জ্বিন ও ইনসানের সৃষ্টি বিনা উদ্দেশ্যে কেবল এক প্রকার খেল-তামাশা কিভাবে হতে পারে? تَعَالَى اللهُ عَنْ ذَلِكَ عُلُوًّا كَبِيْرًا[৪] এই দ্বিতীয়বার জীবিত করা মানুষদের কাছে যতই কঠিন অথবা অসম্ভব মনে হোক না কেন, আল্লাহর কাছে তা অতি সহজ ব্যাপার।