كلوا من طيبات ما رزقناكم ولا تطغوا فيه فيحل عليكم غضبي ومن يحلل عليه غضبي فقد هوى ٨١
كُلُوا۟ مِن طَيِّبَـٰتِ مَا رَزَقْنَـٰكُمْ وَلَا تَطْغَوْا۟ فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِى ۖ وَمَن يَحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِى فَقَدْ هَوَىٰ ٨١
كُلُوْا
مِنْ
طَیِّبٰتِ
مَا
رَزَقْنٰكُمْ
وَلَا
تَطْغَوْا
فِیْهِ
فَیَحِلَّ
عَلَیْكُمْ
غَضَبِیْ ۚ
وَمَنْ
یَّحْلِلْ
عَلَیْهِ
غَضَبِیْ
فَقَدْ
هَوٰی
۟

তোমাদের যে উপজীবিকা দান করলাম তা হতে পবিত্র বস্তু ভক্ষণ কর এবং এ বিষয়ে সীমালংঘন করো না। [১] করলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ পতিত হবে। আর যার উপরে আমার ক্রোধ পতিত হবে সে অবশ্যই ধ্বংস হবে। [২]

[১] طُغيَان এর অর্থঃ সীমালংঘন করা। অর্থাৎ হালাল ও পবিত্র জিনিসের সীমা ছেড়ে হারাম ও অপবিত্র জিনিসের দিকে অতিক্রম করো না। অথবা আল্লাহর অনুগ্রহসমূহকে অস্বীকার করে বা অনুগ্রহকারীর অবাধ্য হয়ে সীমালংঘন করো না। এই সমস্ত ভাবার্থের উপর طُغيَان শব্দ ব্যবহার করা যায়। আর কেউ কেউ বলেন যে, এখানে طُغيَان এর অর্থ হল, তোমরা প্রয়োজন মত পাখি ধর এবং প্রয়োজনের বেশী ধরে সীমা অতিক্রম করো না।

[২] এর অন্য এক অর্থ বর্ণনা করা হয়, আর তা হল, 'সে হাবিয়া তথা জাহান্নামে পতিত হবে।' হাবিয়া জাহান্নামের নিম্নস্তরকে বলা হয়। অর্থাৎ সে জাহান্নামের গভীর বিভাগের উপযুক্ত বাসিন্দা হবে।