واذكر عبدنا ايوب اذ نادى ربه اني مسني الشيطان بنصب وعذاب ٤١
وَٱذْكُرْ عَبْدَنَآ أَيُّوبَ إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُۥٓ أَنِّى مَسَّنِىَ ٱلشَّيْطَـٰنُ بِنُصْبٍۢ وَعَذَابٍ ٤١
وَاذْكُرْ
عَبْدَنَاۤ
اَیُّوْبَ ۘ
اِذْ
نَادٰی
رَبَّهٗۤ
اَنِّیْ
مَسَّنِیَ
الشَّیْطٰنُ
بِنُصْبٍ
وَّعَذَابٍ
۟ؕ

স্মরণ কর, আমার দাস আইয়ুবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিল, শয়তান তো আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলেছে। [১]

[১] আইয়ুব (আঃ)-এর রোগ ও তাতে তাঁর ধৈর্য ধারণ করার কাহিনী একটি প্রসিদ্ধ বিষয়। আল্লাহ তাআলা তাঁর সন্তান-সন্ততি, ধন-সম্পদ ধ্বংস করে এবং রোগ দ্বারা তাঁকে পরীক্ষা করেছিলেন। এই সময় তিনি কয়েক বছর রোগাক্রান্ত ছিলেন, এমনকি (তাঁর স্ত্রীগণও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন) তাঁর সাথে মাত্র একজন স্ত্রী ছিলেন, যিনি সকাল-সন্ধ্যা তাঁর সেবা-শুশ্রূষা করতেন এবং কোথাও কাজ-কর্ম করে তাঁর জন্য কোন রকম আহারের ব্যবস্থা করতেন। এই বিষয়ে বিভিন্ন বিস্তারিত রেওয়ায়াত বর্ণনা করা হয়। কিন্তু তার মধ্যে কতটা সহীহ ও কতটা সহীহ নয়, তা জানার কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র নেই। نُصُبٍ দ্বারা শারীরিক কষ্ট এবং عَذَابٍ দ্বারা ধন-সম্পদ ধ্বংস বুঝানো হয়েছে। আসলে সব কিছু করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। এর পরেও তার সাথে শয়তানের সম্পর্কের কথা এই জন্য বলা হয়েছে যে, সম্ভবতঃ শয়তানের কুমন্ত্রণাই তাঁকে এমন কর্মে লিপ্ত করেছিল, যার কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে এই পরীক্ষা এসেছিল অথবা সম্পর্কের কথা আদবের দিকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ভালোকে আল্লাহর সাথে এবং মন্দকে নিজের বা শয়তানের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।