বল, ‘আমি তোমাদের একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছিঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন করে অথবা একা একা দাঁড়াও এবং চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সঙ্গী (মুহাম্মাদ) পাগল নয়।[১] সে তো আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ককারী মাত্র।’ [২]
[১] অর্থাৎ, আমি তোমাদেরকে তোমাদের কর্ম-পদ্ধতির ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করছি এবং একটি কথারই উপদেশ দিচ্ছি। আর তা এই যে, তোমরা জেদ ও ঔদ্ধত্য ছেড়ে দিয়ে শুধু আল্লাহর ওয়াস্তে একাকী বা দু'জন করে আমার সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা কর, আমার জীবন তোমাদের মাঝেই অতিবাহিত হয়েছে এবং এখনো যে দাওয়াত আমি তোমাদেরকে দিচ্ছি তাতে কি এমন কোন বিষয় আছে, যাতে এই কথার প্রমাণ হয় যে, আমার মাঝে পাগলামি আছে? তোমরা যদি নিজেদের অন্ধ-পক্ষপাতিত্ব এবং মনের খেয়াল-খুশী থেকে মুক্ত হয়ে চিন্তা-ভাবনা কর, তাহলে অবশ্যই তোমরা বুঝতে পারবে যে, তোমাদের সাথীর মাঝে কোন পাগলামি নেই।[২] অর্থাৎ তিনি তো শুধু তোমাদের হিদায়াতের জন্য এসেছেন, যাতে তোমরা সেই কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে পারো, যা হিদায়াতের পথে না চলার কারণে তোমাদেরকে ভোগ করতে হবে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী (সাঃ) একদা সাফা পাহাড়ে চড়ে বললেন, ياصباحاه (সাবধান! সতর্ক হও!) যা শ্রবণ করে কুরাইশরা একত্রিত হয়ে গেল। তিনি তাদেরকে বললেন, "তোমরা বল, যদি আমি সংবাদ দিই যে, শত্রুদল সকাল বা সন্ধ্যায় তোমাদের উপর হামলা করবে, তাহলে তোমরা কি আমার কথা বিশ্বাস করবে? তারা বলল, 'কেন বিশ্বাস করব না? (আমাদের অভিজ্ঞতায় তুমি তো কখনো মিথ্যা বলনি।) তিনি (সাঃ) বললেন, "তবে তোমরা শুনে নাও যে, আমি তোমাদেরকে (আল্লাহর) কঠিন শাস্তি আসার পূর্বে সতর্ক করছি।" এই কথা শুনে আবু লাহাব বলল تَبًّا لَكَ! أَلِهَذَا جَمَعْتَنَا 'তুমি ধ্বংস হও। এই জন্য তুমি আমাদেরকে একত্রিত করেছিলে?' যার ফলে আল্লাহ তাআলা সূরা تَبَّتْ يَدَآ اَبِيْ لَهَبٍ অবতীর্ণ করেছেন। (বুখারীঃ তাফসীর সূরা সাবা')